ডেঙ্গু আতঙ্ক এখন ঘরে ঘরে। প্রতিদিনই হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। এই অবস্থায় নিরাপদ থাকতে ঘর মশামুক্ত রাখার কোনো বিকল্প নেইꦿ। চলুন জেনে নিই ঘর মশামুক্ত রাখার কিছু উপ𒅌ায়-
- যতই মশা মারার ওষুধ ব্যবহার করেন না কেন, ঘরে বা বারান্দায় পানি জমে থাকলে মশার প্রকোপ ঠেকানো যাবে না। তাই এই মৌসুমে পানিতে গাছ না রাখলেই ভালো। বারান্দার টবেও যেন পানি জমে না থাকে।
- সন্ধ্যা হলেই দলে দলে মশারা ঢোকে ঘরে। ভোরের আলো ফোটার সময়ও মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। এই দুই সময় জানালা-দরজা খুলবেন না।
- শিশুর খেলনা স্তুপও হতে পারে মশার আবাসস্থল। দিনের বেলা এই স্তুপে মশা লুকিয়ে থাকে এবং সুযোগ বুঝে কামড় বসায়। এই ধরনের স্তুপ পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
- মশার ভয়ে সবসময় জানালা-দরজা বন্ধ করে রাখলে ঘরের বাতাস চলাচলও বন্ধ হয়ে যাবে। তাই জানালা ও বারান্দায় সূক্ষ্ম ছিদ্রওয়ালা নেট লাগিয়ে দিন। এতে মশা ঢুকতে পারবে না ঘরে, আবার বাতাস চলাচলও হবে।
- ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আছে ঠিকই, কিন্তু লিফটে চড়ে মশা ঠিকই চলে আসতে পারে বাসায়। অনেক সময় উঁচুতলায় থাকলেও এই কারণে মশামুক্ত থাকা সম্ভব হয় না। লিফটে মশা তাড়ানোর স্প্রে করুন নির্দিষ্ট সময় পরপর। সিঁড়িও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন।
সমাধান
- একটি লেবু দুই টুকরা করে কেটে নিন। এরপর কাটা লেবুর ভেতরের অংশে বেশ কয়েকটা করে লবঙ্গ গেঁথে দিন। লেবুর মধ্যে লবঙ্গের পুরোটা গেঁথে শুধুমাত্র মাথার দিকের অংশ বাইরে রেখে লবঙ্গ গেঁথে দিন। এরপর লেবুর টুকরাগুলো একটি প্লেটে রেখে ঘরের কোণায় রেখে দিন। এতেই বেশ কয়েকটা দিন মশার উপদ্রব থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এই পদ্ধতিতে মশা ঘরের ধারেকাছে ঘেঁসবে না একেবারেই।
- প্রাকৃতিক উপায়ে ঘর মশামুক্ত রাখতে কর্পূর বেশ কার্যকর। সকালে ও সন্ধ্যায় কর্পূরের ধোঁয়া ছড়িয়ে দিতে পারেন ঘরের কোণে।
- কিছু গাছ আছে যা ঘরে রাখলে মশার উপদ্রব কমে। তুলসী, পুদিনা, ল্যাভেন্ডার, গাঁদা গাছ রাখতে পারেন ঘরের আঙিনায় বা ঘরের ভেতর।
- অডোমস বা মশারোধী লোশন ব্যবহার করতে পারেন ত্বকে। ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত মশা থেকে সুরক্ষা দেবে এগুলো।
- কালো বা গাঢ় রঙের পোশাকে মশা বেশি আকৃষ্ট হয়। তাই হালকা রঙের পোশাক পরুন।
- কিছু গবেষণা বলছে, ল্যাভেন্ডারের সুগন্ধ আছে এমন মোম জ্বালালে মশা দূর হয়।
- ঘুমানোর আগে অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে নেবেন।