মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ স্ত্রী ও শ্যালক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান 𒉰তারা।
নিহতরা হলেন উপজেলার সাটুরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম গওলা গ্রামের আতাউর রহমানের মেয়ে শারমিন আক𝕴্তার (৩০) এবং তার চাচাতো ভাই রুবেল মিয়া (২৮)।
এর আগে শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল 𝕴১০টার দিকে আগুন দেওয়ার এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত শারমি🌜নের চাচি শিরিন আক্তার (৫২) দগ্ধ অবস্থায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে নিহত গৃহবধূ শারমিনের ভাই শামীম বাদী হয়ে ভগ্নিপতি হাসান আলী🥃কে (৩২) আসামি করে সাটুরিয়া থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ হাসান আলীকে গ্রেপ্তার করে। সাটুরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মানবেন্দ্র বালো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের পর𒈔িবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাটুরিয়া সদর ইউনিয়নের পশ্চিম গওলা গ্রামের আতাউর রহমানের মেয়ে শারমিন আক্তারের সঙ্গে ১০ বছর আগে 🉐বিয়ে হয় ঢাকা জেলার ধামরাইয়ের রাজাপুর গ্রামের মো. হাসান আলীর। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী শারমিনের ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠে হাসানের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে কয়েকবার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে পালিয়ে আসেন শারমিন।
গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বাড়িতে এসে স্বামীকে তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শারমিন। এ খবর জানতে পেরে শুক্রবার সকালে হাসান🌃 আলী শ্বশুরবাড়ি এসে স্ত্রীকে খুঁজতে থাকেন। পরে পাশেই চাচাশ্বশুরের ঘরে ঢুকে স্ত্রীকে দেখে তার গায়ে পেট্রল ꦿঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এসময় চাচিশাশুড়ি শিরিন আক্তার ও শ্যালক রুবেল মিয়া শারমিনকে বাঁচাতে এলে তাদের গায়েও পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন হাসান আলী। পরে আহত তিনজনকেই প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দ্রুত জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান।
সাটুরিয়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন পিন্টু বলেন, “ওই দম্পতির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। শারমဣিন তালাক দেবে শুনে হাসান আলী তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাকে বাঁচাতে গꦍিয়ে তার চাচি ও চাচাতো ভাই আগুনে পুড়ে আহত হন। বুধবার শারমিন ও তার চাচাতো ভাই রুবেল মারা গেছেন।”
সাটুরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মানবেন্দ্র বালো বলেন, “নিহত শারমিনের ভাই শামীম বাদী হয়ে ঘটনার দিন রাতেই সাটুরিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন। এটি পরে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। আসামি হাꦫসান আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
