নানান ব্যস্ততার গ্যাড়াকল থেকে কিছু সময় বের করে চলে গেলেন অরণ্যে। যেদিকে তাকান শুধু চোখজুড়ানো সবুজ পাহাড়। প্রকৃতির মধ্যে নিজেকে সঁপে দেওয়ার আনন্দের মুহূর্ত এক নিমিষেই মাটি হয়ে যেতে পারে, যদি আপনার থাকে উচ্চতাভীতি। জরুরি প্রয়োজনে বিমানে করে কোথাও যাচ্ছেন, সেই সময়ও উচ্চতাভীতির 💯কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয় অনেককে। উঁচু ভবনের ব্যালকনি, ছাদ, কিংবা লিফটেও উচ্চতাজনিত ভয়ের কারণে মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। চলুন জেনে নেব কেন হয় এই ধরণের ভয়—
উচ্চতাভীতি কী
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উচ্চতা নিয়ে এই ভীতির নির্দিষ্ট কোনো কারণ থাকে না। এটি এক♈টি মানসিক বিষয়। কারও কারও ক্ষেত্রে অতীতে উচ্চতা-সংক্রান্ত খারাপ অভিজ্ঞতা থাকে। তবে নির্দিষ্ট কোনো শারীরিক সমস্যা কিংবা শারীরিক দুর্বলতা এ জন্য দায়ী নয়। উঁচু জায়গায় উঠলে যে কারোরই একটু ভয় হতে পারে। তবে যাদের ভয় প্রকট আকার ধারণ করে, কেবল তাদের সমস্যাটিকেই উচ্চতাভীতি বলা হয়।
কেন হয়
মস্তিষ্কে জমা হওয়া কোন🥃ো দুঃসহ স্মৃতি কখনো কখনো কোনো পরিস্থিতিতে মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, বলা মুশকিল! অনিরাপদ পরিবেশে বেড়ে ওঠা কিংবা অতীতে বড় কোনো মানসিক বিপর্যয়ের শিকার ব্যক্তিরা উচ্চতাভীতিতে ভুগতে পারেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিবারের অন্য কারও মধ্যেও এ ধরনের ভীতি দেখা যায়।
উপসর্গ
উঁচু স্থানে গেলে অস্থির হয়ে পড়াꦿ, মাথা ঘোরানো, বুক ধড়ফড় করা, শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে বলে মনে হওয়া উচ্চতাভীতির উপসর্গ। এমনকি ওই ব্যক্তি ওই মুহূর্তেই মারা যাচ্ছেন—এমনটাও অনুভব করতে পারেন।
কী করবেন
আপনার উচ্চতাভীতি থাকলে যে কখনোই♑ উঁচু জায়গায় স্বাভাবিকভাবে যেতে পারবেন না, তা কিন্তু নয়। এটি যেহ꧅েতু সম্পূর্ণ মনের অসুখ তাই কোনো মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। চিকিৎসায় ধীরে ধীরে সমস্যা দূর হয়ে হবে এটি। কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপির মাধ্যমে সমস্যাটি দূর করা যায়।