বিষণ্ণতা একটি মানসিক রোগ। শারীরিক রোগ যেমন জটিল ꦐতেমনই জটিল হতে পারে মানসিক রোগ♏গুলোও। বিষণ্ণতাও জটিল রূপ নিতে পারে। বিষণ্ণতা থেকে একসময় নিজের উপরই তিক্ততা চলে আসতে পারে।
আমেরিকান সাইক্রিয়াটিক এসোসিয়েশন সূত্রে জানা যায়, ব🧸িষণ্ণতার কয়েকটি লক্ষণ রয়েছে। যার মধ্যে অন্তত ৫টি লক্ষণ টানা দু সপ্তাহর বেশি সময় স্থায়ী হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। যেমন, দিনের বেশির ভাগ সময় মন খারাপ থাকা, কাজে আনন্দ ও আগ্রহ কমে যাওয়া, ঘুম অস্বাভাবিক কমে যেতে পারে বা বাড়তে পারে, খাবারে অরুচি হওয়া বা খাওয়া বেড়ে যাওয়া, ওজন কমে যাওয়া, কাজে ধীরগতি, নেতিবাচক চিন্তা বেশি করা, নিজেকে দায়ী মনে করা, সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা, মনোযোগ কমে যাওয়া এবং তীব্র বিষন্নতা বেড়ে গেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করা।
বিষণ্ণতার এই ফাঁদ থেকে নিজেকে বের করার জন্য নিজেকেই চেষ্টা করতে হবে। এরপরও না হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। বিষণ্নতার মতো মানস🅘িক রোগ থেকে কাটিয়🐈ে উঠতে যে কাজগুলো করতে পারেন_
- যোগব্যায়াম, ধ্যান মানসিক চাপ কমায়। মনে প্রশান্তি আনে। মানসিকভাবে সবল করে তোলে। তাই নিয়মিত শরীরচর্চা ও যোগব্যায়াম করুন।
- সৃজনশীল কাজের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করে দিন। দিনের বেশিরভাগ সময় নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। যেসব বিষয়ে চিন্তা বাড়বে তা এড়িয়ে চলুন।
- সব চিন্তা বাদ দিয়ে শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবুন। অনেক কাজের ভিড়েও সপ্তাহে অন্তত একবার নিজের জন্য সময় বের করুন। নিজের ভালোলাগার কাজগুলো করুন।
- আশপাশের ঘুরে বেড়ান। অন্যদের সঙ্গে মিশুন। সময় কাটান। যখনই বিষণ্ন লাগবে, কাছের মানুষের সঙ্গে গল্প করুন।
- শারীরিক পরিশ্রম বেশি করুন। এতে হ্যাপি হরমোন নিঃসৃত হয়। ফলে বিষণ্নতা চলে যায়।
- প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে নিন। একই সময় ঘুমাতে যাবেন। ফোনে বেশি সময় কাটাবেন না। ঘুমানোর তিন ঘণ্টা আগেই ভারী খাবার সেরে নিবেন।
- নিজের সমস্যা নিয়ে অন্যকে জানাতে পারেন। তবে যিনি আপনাকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে কথা বলবে তাকেই জানাবেন। নির্ভর করতে পারেন এমন মানুষকেই জানান।
- নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে থাকুন। নেতিবাচক মানুষ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। কোনোকিছুতে তাৎক্ষণিকভাবে সুফল নাও পেতে পারেন। হাল ছাড়া যাবে না। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করুন।