আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্꧒যার প্রতিবাদ ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আগ্রাসনবিরোধী ছাত্র ঐক্য।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন🍎্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা, ‘ভারত🐻ীয় আগ্রাসন, রুখে দাও রুখে দাও’, ‘উগ্রবাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না‘, ‘ইসকন সনাতন, এক নয় এক নয়’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’꧃, ‘হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই, ইসকনের রক্ষা নাই’, ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না‘ ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাকিব 🍸বলেন, “সাইফুল ইসলাম আলিফকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে ইসকনের জঙ্গিরা। তিনি জুলাই আন্দোলনে স্বোচ্চার ছিলেন এবং ইসকনের বিরুদ্ধে লেখালেখি করতেন। যে কারণে তাকে খুন হতে হয়🌜েছে। এই হত্যায় জড়িত ইসকনের সন্ত্রাসীদের বিচার চাই।“
এ সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হক বলেন, “আমরা হত্যার বিনিময়ে হত্যা করব না। আমরা ষড়যন্ত্রকারীদের ফ♊াঁদে পা দেব না। এই দেশে সংখ্যালঘুরা সুযোগ সুবিধা পেয়ে তারা শিক্ষা সহিত্য সংস্কৃতিতে এগিয়ে গিয়েছে। এদেশে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও ইসলামপন্থী হওয়ার কারণে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। আমাদের জ্ঞান বিজ্ঞানে এগিয়ে যেতে হবে তবেই শহীদদের আত্মত্যাগ সফল হবে।”
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম আদালতে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর তার অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সম𝄹♉য় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন মৃত্যুর বিষয়টি 𒈔নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, চট্টগ্রাম আদালতে সংঘর্ষের🎀 ঘটনায় হতাহত ৬-৭ জন চমেক হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে সাইফুল ইসলাম নামের এক আইনজীবীকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। তার শরীরে একাধিক কোপের চিহ্ন রয়েছে।