থায়ামিন (ভিটামিন বি১), রিবোফ্লাভিন (ভিটামিন বি২), নিয়াসিন (ভিটামিন বি৩), প্যা🎉ন্টোথেনিক অ্যাসিড (ভিটামিন বি৫), পাইরিডক্সিন (ভিটামিন বি৬), বায়োটিন (বি৭), ফোলেট (বি৯) এবং কোবালামিন (ভিটামিন বি১২) মিলে তৈরি হয় ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স হলো একধরনের সাপ্লিমেন্ট (সম্পূরক)। এটি ডিএনএ এবং লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশের জন্যও প্রয়োজন। এছাড়া ভিট♌ামিন বি কমপ্লেক্স আরও কিছু স্বাস্থ্যসুবিধা দিয়ে থাকে। যেমন-
- ভিটামিন বি শরীর, মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর কার্যকারিতা বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন বি৬ স্নায়বিক ব্যাধি পার্কিনসন রোগ প্রতিরোধ করতে পারে।
- হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি গ্যাস ও অম্বলের প্রকোপ কমাতে ও ব্লাড সেল এর সংখ্যা বৃদ্ধির সাহায্য করে ভিটামিন বি ২।
- ভিটামিন বি৩ সহজেই পানির সঙ্গে মিশে যায় এবং ত্বকের প্রাকৃতিক উপাদানের সঙ্গে মিশে কাজ করে। এটি অনেকাংশে ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে। পাশাপাশি রিবোফ্লাভিন বা ভিটামিন বি২ একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট—ফ্রি র্যাডিক্যাল ধ্বংস করে ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগ দূর করে।
- ভিটামিন বি৯ বা ফোলেট কোষের বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে গর্ভাবস্থায়, এবং লোহিত রক্তকণিকা গঠনে সহায়তা করে।
- ভিটামিন বি৫ ও বি৬ শরীরে হরমোনের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে (যেমন, মানসিক চাপের হরমোন কর্টিসল) ভারসাম্য রাখে। তাই এই ভিটমিনের অভাব হলে বিষণ্নতা ও তীব্র মানসিক চাপে ভুগতে পারেন।
- এছাড়া বি৬, বি৯ ও বি১২ হোমোসিস্টাইনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা কার্ডিওভাস্কুলার রোগের (সিভিডি) ঝুঁকি কমায়। বি ভিটামিন আমাদের শরীরে নতুন লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে সহায়তা করে, যা টিস্যু ও শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।
- বায়োটিন (ভিটামিন৬) এবং অন্যান্য বি ভিটামিন সুস্থ ত্বক, চুল এবং নখ রাখতে অবদান রাখে।
- ভিটামিন বি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করতে পারে।