• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


যে কাজগুলো কখনোই শিশুর সঙ্গে করবেন না


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম
যে কাজগুলো কখনোই শিশুর সঙ্গে করবেন না
অন্যদের সঙ্গে বারবার তুলনা করে কথা শোনাবেন না। প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত

শিশুদের এই সময়টাই শেখার সময়। তার আশেপাﷺশের মানুষদের কাছ থেকে বা পরিবার ও পরিবেশ থেকেই শিখবে। ফলে তাদের সঙ্গে এমন কোনও আচরণ করা যাবে না যাতে করে তাদের মনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়।  কিছু বিষয় আছে যেগুলো তাদꦦের সঙ্গে করলে শিশুর আত্মমর্যাদাবোধ আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে, তাদের বিকাশ হতে পারে বাধাগ্রস্ত, মনে সৃষ্টি হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত। তাই শিশুদের প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিত।

চেহারা নিয়ে মন্তব্য
শিশুরাও তাদের চেহারা এবং বাহ্যিক রূপ নিয়ে সচেতন 𝔉থাকেꦗ। ফলে শিশুদের চেহারা, গায়ের রং নিয়ে নেতিবাচক কথা বলবেন না।  এতে তাদের হীনম্মন্যতা সৃষ্টি হয়।

ওজন
যেসব শিশু ওজন নিয়ে কটু কথা শোনে, তাদের মধ্যে ইটিং ডিজঅর্ডার দেখা দেয়।   তাই বাহ্যিক গড়ন নিয়ে কোনো রকম বাজে কথা শিশুদ𒁏ের বলা যাবে না।

অন্যের সম্পর্কে খারাপ কথা বলা
পরিবারের লোকজন মাঝেমধ্যে শিশুদের সামনে যেসব কথা বলেন বা গসিপ করেন সে সম্পর্কে সচেতন থাকেন না।  আপনি যখন অন্যের সম্পর্কে খারাপ কথা ব🧔লেন বা তাদের সামনে অন্যদের নিয়ে নেতিবাচক কথা বলেন, তখন শিশুর সামনে 🔯ভালো দৃষ্টান্ত তুলে ধরছেন না। তখন শিশুর মনে আপনা আপনিই সেই  ব্যাক্তি সম্পর্কে খারাপ ধারণা তৈরি হয়।

দক্ষতা
সব শিশু এক রকম  হবে সেটা ভাবার কোনও কারণ নেই। একেক জন𓄧✨ একেক রকম বা একেক বিষয়ে দক্ষ হয়। ফলে অন্য শিশুর সাথে তুলনা করে তাকে কটু কথা বলবেন না। এতে তাদের হীনম্মন্যতা সৃষ্টি হয়। বরং সে কোন বিষয়ে দক্ষ সেটা খুঁজে বের করুন।

পরীক্ষার ফল নিয়ে অন্যের সঙ্গে তুলনা না
আপনার শিশু পরীক্ষায় ভালো ফল না ও করতে পারে। সব শিশু পরীক্ষায় চমৎকার ফলাফল করে না। আপনার শিশু যদি পরীক্ষায় ভালো ফল না ও করে তাকে অন্যদের সঙ্গে বারবার তুলনা করে কথা শো💝নাবেন না। এতে তার মধ্যে প্রচণ্ড মানসিক চাপ এবং অবসাদ সৃষ্টি হয়। পড়াশোনার অতিরিক্ত চাপের কারণে তার মধ্যে ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতা এবং অ্যাংজাইটি বা দুশ্চিন্তাগ্রস্ততা দেখা দিতে পারে।

সব সময় ব্যঙ্গ করা
শিশুরা💞 কটাক্ষ বোঝে না। কিন্তু আমরা যখন রাগে চিৎকার করি তখন তারা ঠিকই বুঝতে পারে। শিশুরা মানুষের আচরণ বুঝতে পারে। কিন্তু আচরণের কোনো বিষয়ের ভুল অর্থ করলে সেটি তাদের বাড়তি মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে।

শিশুর ব্যক্তিগত আগ্রহের বিষয়ে  ঠাট্টা না
শিশুর যেসব বিষয়ে আগ্রহ থাকে সেসব বিষয়ে আপনার আগ্রহ নাও থাকতে পারে। তাই বলে তার আগ্রহের বিষয়ে ঠাট্টা করা যাবে না। এতে একটি সৃষ্টিশীল কাজ করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। লিখতে ইচ্ছা করলেও ভয় পাবে, পাছে আপনি কিছু বলেন। শিশুকে তাদের আগ্রহের বিষয়ে উৎসাহ꧂ দেওয়া তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক এবং মানসিক বিকাশে সহায়ক।

অন্যের সামনে অপমান করা
অনেক পিতামাতাই তাদের সন্তানের ভালো দিকগুলোর পরিবর্তে তাদের দুর্বলতা এবং নেতিবাচক দিকগুলোকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে অন্যান্য বন্ধু-বান্ধব, সহপাঠী বা আত্মীয়দের সামনে অপমান করেন। এ ধরনের আচরণ শিশুর মাঝে তার অভিভাবকের প্রত♚ি অশ্রদ্ধা এবং বেপরোয়া মনোভাবের সৃষꦉ্টি করে। যা পরবর্তীতে ঐ শিশু বা তার পিতামাতা কারও জন্যই ভালো ফল বয়ে নিয়ে আসেনা।

ভয় দেখানো
শিশুকে নানা কারণে ভয় দেখানো হয়। কখনও কখনও কাল্পনিক ভূত-প্রেত, পশুপাখির ভয় দেখানো হয়।এইটা করা ঠিক না। আবার অনেক শিশু আছে যারা অন্ধকার, পোকামাকড়, কাল্পনিক ভূত-প্রেত, দৈত্য-দানব ইত্যাদি অনেক কিছু নিয়েই ভয় পেতে পারে। ক🐲িন্তু এসব ভয় নিয়ে তাদের সামনে হাসাহাসি করা যাবে না।

Link copied!