• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


শিশুর কৃমির সংক্রমণজনিত লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২৪, ০৪:৪৫ পিএম
শিশুর কৃমির সংক্রমণজনিত লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়
প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত

কৃমি এক ধরনের পরজীবী। এটি মানবশরীর থেকে পুষ্টি নিয়ে বেঁচে থাকে, বৃদ্ধি পায়, বংশবিস্তার করে। কৃমি সাধারণত শিশুদের বেশি হয়। সাধারণত খাদ্যনালীর নিচের অংশে, বা কখনো কখনো লিভারে কৃমির সংক্রমণ বাড়তে পারে। আমাদের দেশে ১০ বছ𓆉রের নিচের শিশুরা কৃমিতে খুব বেশি আক্রান্ত হয়।

শিশুর কৃমির সংক্রমণজনিত লক্ষণ
সাধারণত শিশুদের মধ্যে কৃমি সংক্রমণের কোনও উপꦍসর্গ সে ভাবে দেখা যায় না। কিন্তু তাও কিছু অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে। যেমন-

  • বমি ভাব অথবা বমি হওয়া
  • পেটব্যথা, পেট ফোলা-ফাঁপা, বদহজম 
  • রক্ত বা রক্তযুক্ত ডায়রিয়া
  • ক্ষুধামান্দ্য ও ওজন কমে যাওয়া
  • জ্বর, ক্লান্তি, হাত-পায়ের ব্যথা এবং মাথাব্যথা
  • মলদ্বারের চারপাশে চুলকানো

কৃমি কেন হয়?
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে শিশুদের কৃমির সংক্রমণ বেশি হয়। এছাড়া আছে নানান কারণ। যেমন- দূষিত পানি পা🍌ন করলে, খালি পায়ে হাটলে, বাইরের খোলা ও অপরিচ্ছন্ন খাবার খেলে, প্রস্রাব-পায়খানা করার পর ও খাবার খাওয়ার আগে ঠিকমতো হাত না ধুলেও কৃমি হয়।

চিকিৎসা
শিশুর কৃমি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে। শিশুর বয়স এক বছর হলেই কৃমির ওষুধ খাওয়ানো যাবে। তবে কৃমি যে শুধু শিশুর হবে তা নয়, সব বয়সের মানুষেরই হতে পারে𝓰। এজন্য যে বাচ্চার কৃমি হয়েছে সে ছাড়াও পরিবারের সব সদস্যদের একসঙ্গে কৃমির ওষুধ খেতে হবে।

চিকিৎসার ক্ষেত্রে চিকিৎসক প্রথমে রোগীর মল পরীক্ষা করে নির্দিষ্ট ধরনের কৃমির সংক্রমণ নির্ণয় করেন। এরপর সে💦 অনুযায়ী কৃমিনাশক ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন।

কৃমি প্রতিরোধের উপায়
কৃমির সংক্রমণ সব বয়সী মানুষেরই হয়। আকারে খুব ছোট হওয়া সত্ত্বেও একটি কৃমি প্রতিদিন মানুষের অন্ত্র থেকে শূন্য দশমিক ২ মিলিলিটার রক্ত শুষে নিতে পারে। দীর্ঘদিন শরীরে কৃমি থাকলে শিশুরা অপুষ্টি ও রক্তশূন্যতায় ভোগে। তাই𒀰 কৃমি প্রতিরোধ করা দরকার। এক্ষেত্রে কৃমি হওয়ার আগেই তা প্রতির♒োধ করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যে-

  • শিশুরা যাতে প্রত্যেকবার মলত্যাগ ও প্রস্রাবের পরে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • প্রতিবার যে কোনও খাবার খাওয়ার আগে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
  • শিশুরা যেন বিশুদ্ধ পানি পান করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • ধুলাবালি, ময়লা, আবর্জনা ধরার পরে হাত যাতে মুখে না দেয় এবং হাত যাতে ভালো করে ধুয়ে ফেলে তা দেখতে হবে।
  • শাকসবজি, ফলমূল খাবারের আগে বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে
  • সঠিক নিয়মে রান্না করা খাবার খেতে হবে। আধা সেদ্ধ খাবার খাওয়া যাবে না।
  • কিছু কিছু কৃমি আছে নখের মাধ্যমে ছড়ায়। তাই নখ ছোট রাখতে হবে।
Link copied!