আমাদের রান্নাঘরের অন্যতম পরিচিত উপাদান হলো কাঁচা মরিচ। রান্নায় ব্যবহারের পাশাপাশি ভাতের সঙ্গে, সালাদের সঙ্গেও কাঁচা মরিচ খান অনেকে। শুধু স্বাদের জন্যই নয়, শরীর ঠিক রাখতে কাঁচা মরিচ খান স্বাস্থ্যসচেতন ব্ꦆযক্তিরা। এর রয়েছে অনেক উপকারিতা। যেমন-
- হার্টের সমস্যা এখন সব বয়সীদের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে। হার্টের সমস্যা কমায় কাঁচা মরিচ। কাঁচা মরিচে থাকা বিভিন্ন উপাদান রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি কমায়। ফলে হার্টের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিহত হয়।
- কাঁচা মরিচ ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় হজমের জন্য খুবই উপকারী। এটি খেলে স্যালাইভার উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। ফলে গ্যাস, অম্বল এবং বদহজমের মতো সমস্যা দূর হয়।
- এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি শরীরকে জ্বর, সর্দি, কাশি থেকে রক্ষা করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বক ও চুল ভালো রাখতে দারুণ উপকারী। তা ছাড়া রক্তনালি আর তরুণাস্থি গঠনে সাহায্য করে।
- কাঁচা মরিচ মেটাবলিজম বাড়িয়ে ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে। মরিচে থাকা বিটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন দেহে প্রবেশ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বিভিন্ন সংক্রমণ প্রতিহত করে।
- শরীরে মেদ জমতে দেয় না কাঁচা মরিচ। এতে থাকা ক্যাপসাইকিন খাদ্যে থাকা উচ্চমাত্রার চর্বিকে ধ্বংস করে ফেলে। চর্বি জাতীয় খাবারের সঙ্গে কাঁচা মরিচ খেলে শরীরে মেদ জমতে পারে না। নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে শরীরে জমে থাকা ফ্যাট গলতে শুরু করে।
- নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা বাড়ে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- এতে আছে ভিটামিন এ যা হাড়, দাঁত ও মিউকাস মেমব্রেনকে ভালো রাখতে সহায়তা করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে, যা মাড়ি ও চুলের সুরক্ষা করে।
- আপনি যদি সাইনাসের রোগী হোন তাহলে কাঁচা মরিচ আপনার জন্য বেশ উপকারী। কাঁচা মরিচ খাওয়ার পরে আমাদের ব্রেনের মধ্যে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে সাইনাস ইনফেকশনের সমস্যা দ্রুত কমে।