বর্তমান সময়ে নানান কারণে মানুষের মধ্যে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে। এসব ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস দরকার। দরকার সুষম খাবারের। কারণ এমন কিছু খাবার আছে বিশেষ করে ফল আছে যেগুলো ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। এরকমই একটি ফল ডালিম। ডালিমে আছে অনেক ক্যালরি, প্রোটিন, কার্বোহ✤াইড্রেট ও ফ্যাটসহ নানান উপাদান। ক্যানসারের ঝুঁকি কমানো থেকে শুরু করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সহ নানান উপকার করে এই ফল। তাই নিয়মিত ডালিম খাওয়া জরুরি।
- ডালিমের রস ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। বিশেষত ফুসফুস ও স্তন ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। শরীরের কোনো কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ডালিমের রস সে ক্ষত সারিয়ে তুলতে পারে। আবার এটি টিউমারের বৃদ্ধিকে ধীর করে দিতে পারে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে ডালিমে। তাই রক্তশূন্যতা রোধ করতে ডালিম খেতে পারেন প্রতিদিন।
- ২০১৪ সালের এক গবেষণায বলছে, ডালিমের নির্যাস রক্তে অক্সালেট, ক্যালসিয়াম এবং ফসফেটের ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে। এতে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে।
- ডালিমের রস উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত ডালিমের রস খেতে পারেন।
- ডালিমে আছে ডায়াটারি ফাইবার বা আঁশ। দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় দুই ধরনের আঁশ থাকায় এটি হজমশক্তি বাড়ায় এবং অন্ত্রের নড়াচড়া নিয়মিত করে।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনলিক যৌগের সমৃদ্ধ উৎস ডালিম। তাই নিয়মিত ডালিম খেতে পারেন। কারণ রোজ ডালিম খেলে শরীরের ক্ষতিকর ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়ার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
- স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে ডালিম। গবেষণায় দেখা গেছে, টানা চার সপ্তাহ বা প্রায় এক মাস ডালিমের রস খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। হার্ট সার্জারি বা আলঝেইমারস ডিজিজে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ডালিম খেলে বিশেষ উপকার পাবেন। পাশাপাশি শিশুরা খেতে পারে ডালিমের রস।
- ডালিম আথ্রাইটিসের জন্য উপকারি। এছাড়া এটি হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা উপশম করতে সহায়তা করে।