শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো এশিয়ানদের মধ্যে আদা মশলা হিসেবে বেশ পরিচিত। যে কোনও তরকারির স্বাদ বাড়াতে আদা অনবদ্য। তবে শুধু তরকারির স্বাদ বাড়াতেই নয় আদা স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারি। আদায় রয়েছে পটাশিয়াম, আয়রণ, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন এ, বি৬, ই ও সি এবং অ্যান্টি–ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট ও অ্যান্টি–ইনফ্লামেটরি এজেন্ট বিদ্যমান। এসব উপাদান শরীরের নানান রোগ দূর করতে কাজ করে। মাইগ্রেনের সমস্যা দূর করা থেকে শুর🔯ু করে ফুসফুসের সংক্রমণ দূর করতেও কাজ করে আদা। যেমন-
- মাইগ্রেনের সমস্যা করে আদা। এই সমস্যা দূর করার জন্য প্রতিদিন দুবেলা এক চা–চামচ করে আদার রস, লেবুর রস ও মধু গরম এক কাপ পানিতে মিশিয়ে চায়ের মতো করে খেতে হবে।
- আমাশয়, পেটফাঁপা, পেটব্যথা দূর করতে কার্যকর। সেক্ষেত্রে এক কাপ গরম পানিতে এক চা–চামচ আদার রস মিশিয়ে খেলে আমাশয়, পেটফাঁপা, পেটব্যথা দূর হবে।
- পিরিয়ডের সময় অনেক মেয়েরই নানান সমস্যা দেখা দেয়। শরীরের বিভিন্ন অংশ বিশেষ করে পেটে, কোমড়ে বা পায়ে ব্যথা হয়। এই বিশেষ ব্যথা দূর করতে কার্যকর আদা।
- হাঁপানি ও ফুসফুসে সংক্রমণ রোধ করে আদা। প্রতিদিন দুবেলা এক চা–চামচ করে আদার রস, লেবুর রস, মধু এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে চায়ের মতো করে খেলে এবং ঠান্ডাজাতীয় খাবার এড়িয়ে চললে এসব সমস্যা দূর হয়।
- অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতেও আদা উপকারি। বুক জ্বালা করা থেকে কোষ্টকাঠিন্যসহ নানান সমস্যা দূর করে আদা।
- এক চা–চামচ আদার রস গরম পানিতে মিশিয়ে চায়ের মতো করে ছয় থেকে সাতবার খেলে জ্বর জ্বর ভাব ও বমি বমি ভাব কেটে যাবে।
- সামান্য লবণ দিয়ে কাঁচা আদা চিবিয়ে খেলে আহারে রুচি আসে।
- প্রতিদিন দুবেলা এক চা–চামচ করে আদার রস, লেবুর রস ও মধু এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে চায়ের মতো করে খেলে কাশি কমে, কফ দূর হয়।
- প্রতিদিন দুবেলা এক চা–চামচ করে আদার রস, লেবুর রস ও মধু এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে চায়ের মতো করে খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজে আসবে।