ছয় মাসের বেশি বয়সী একটি শিশুর প্রতিদিন ৬০০ ক্যালরি শক্তির প্রয়োজন হয়। এর ভেতর ৪০০ ক্যালরি সে পায় বুকের দুধ থেকে। আর বাকি ২০০ ক্যালরির জন্য বাড়তি খাবার শুরু করতে হয়। আর এ নিয়ে 𒅌অভিভাবকদের ভেতর থাকে উত্তেজনা, উৎকণ্ঠা। শিশুর মুখে পুষ্টিকর খাবার তুলে দেওয়াটা তাদেরই দায়িত্ব। ফলে তারা অনেকেই না বুঝে শিশুকে এটা-সেটা খেতে দেন। কিন্তু কিছু খাবার রয়েছে যা শিশুর প্রথম এক বছরে দেয়া উচিত নয়। চলুন দেখে নেই এমন সব খাবার সম্পর্কে-
লবণ
আয়োডিনের অভাব পূরণের সবচেয়ে বড় উৎস🐎 লবণ হলেও কোনোভাবেই শিশুর এক বছর বয়সের আগে তাকে লবণ খেতে দেবেন না। কারণ তখনও শিশুর কিডনি পরিপূর্ণ হয় না ফলে লবণ খেলে শিশুর উচ্চ রক্তচাপ, কিডনিতে পাথর𝄹, ডিহাইড্রেশন এবং হাড় ক্ষয়ের মতো সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া মায়ের বুকের দুধেই পর্যাপ্ত সোডিয়াম থাকে। তাই শিশুকে আলাদা করে লবণ খাওয়াবেন না।
মধু
মধু খুবই স্বাস্থ🌠্যকর হলেও এক বছরের কম শিশুদের মধু খাওয়ানো ঠিক না। কারণ মধুতে ক্লোস্ট্রিডিয়াম বোটুলিনামের স্পোর থাকতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়া পেটে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। কেননা, এক বছর পর্যন্ত শিশুর পাকস্থলী এটা পরিপাক করতে পারে 🌳না।
চিনি
এক বছরের কম বয়সী কোন শিশুকে পরিশোধিত চিনি খেতে দেওয়া উচিত না। আলাদা করে তাকে মিষ্টি খেতে দিলে হতে পারে🍸 স্থ🌳ুলতা, দাঁতের ক্ষয়, ডায়াবেটিসের মতো মারাত্মক সমস্যা। এ সময় শিশুরা খাবারের মাধ্যমে প্রাকৃতিক চিনি গ্রহণ করে।
হাফ বয়েল ডিম
ডিমকে বলা হয়ে সুপার ফুড। সেজন্য শিশুকে শুরুতে প্রতিদিন অল্প অল্প করে ডিমের কুসুম দিতে পারেন। তবে হাফ বয়েল ডিম দেওয়💧া যাবে না। কারণ হাফ বয়েল ডিমে থাকা সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া পেটে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করে ডায়রিয়া, টাইফয়েড ফিভার, গ্যাস্ট্রোএন্টারটাইটিস, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাবের মতো উপসর্গ তৈরি করতে পারে। এ ছাড়া এতে বমি, খাবারে অরুচি, ক্ষুধামান্দ্য, ডিম খেতে না চাওয়ার মতো꧃ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গরুর দুধ
গরুর দুধ পুষ্টিকর তাতে সন্দেহ নেই। এর ভেতরে থাকা নানা উপাদান আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। তবে শিশুর বয়স এক বছর হওয়ার আগে তাকে গরুর দুধ খেতে দেবেন না🐼। এর কারণ হলো গরুর দুধে থাকা খাদ্যগুণ শিশুর শরীর ঠিকভাবে হজম করতে পারে না। আবার গরুর দুধে প্রচুর সোডিয়াম বা লবণ থাকে। এটা শিশুর কিডনির ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই এক বছর বয়সের আগে শিশুকে গরুর দুধ না খাওয়ানোই ভালো।