রাগ সহজাত আবেগ হলেও রাগকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। রাগ প্রকাশ করা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হলেও অতিরিক্ত রাগ ভালো না। রাগ বেশি হলে শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হয়। এমনকি পারিবারিক, সামাজিক জীবন ও পেশাগত জীবনকেও ব্যাহত করেﷺ। মাত্রাতিরিক্ত রাগ হার্টের ওপর প্রভাব ফেলে যার কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়। এছাড়াও আরও কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। যেমন-
- আপনি যখন রাগ করেন তখন আপনার শরীরের উপর চাপ পড়ে। যার ফলে কর্টিসল ও অ্যাড্রেনালিনের মতো স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ হয়। এসব হরমোন দ্রুত রক্তনালিকে সংকুচিত করে,যার কারণে রক্তপ্রবাহে বাধা পায়। ফলে হার্টে রক্ত সরবরাহ কমে যায় এবং হার্ট অ্যাটাক হয়।
- উচ্চ রক্তচাপ, বুকে ব্যথা, তীব্র মাথাব্যথা, মাইগ্রেন, অ্যাসিডিটির মতো অনেক শারীরিক রোগ দেখা দিতে পারে।
- রাগ স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। হঠাৎ রাগ মস্তিষ্কের ওপর প্রচন্ড চাপ ফেলে, যার কারণে মস্তিষ্কের রক্তনালিগুলো কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। তখন স্ট্রোক হতে পারে।
- মাত্রাতিরিক্ত রাগ আলসার এবং বদহজমের মতো সমস্যা সৃষ্টি করে।
- রেগে গেলে নার্ভের ওপর চাপ পড়ে, যার ফলে ইন্টারলিউকিন-৬ নিঃসরণ করে। এটি রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয়।
- অতিরিক্ত রাগের কারণে স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণে পেটের রক্ত চলাচল কমে যায়। এতে পেটব্যথা, পেট খারাপ, ডায়রিয়াও হতে পারে।
- অতিরিক্ত রাগ মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। রাগের সময় কোন কিছুতে মনোযোগ দেওয়া যায় না। এমনকি কখনও কখনও অন্যের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করে ফেলে। এতে অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয়।