সকালের নাস্তার টেবিলে অনেকেরই কলা থাকে। কলঅ দামে যেমন সস্তা পুষ্টিগুণেও ভরপুর। আবার কলা যেমন পুষ্টিকর, তেমনই সুস্বাদু। কলা খেলে শরীর ভাল থাকে, এমন কথা অনেক পুষ্টিবিদই বলেন। কলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম আছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। কিন্ত তাই বলে এক সঙ্গে অনেক কলা খেꩵয়ে ফেলা ঠিক না। অতিরিক্ত কলা কিছু রোগীদের ভোগান্তি বাড়িয়ে দেয়। স্বাস্থ্য ভাল রাখতে একই দিনে অনেকগুলো কলা খেয়ে ফেললে উল্টে 🦂বিপদ বাড়বে। নানারকম শারীরিক সমস্যা শুরু হতে পারে। যেমন-
- যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে তারা দিনে ২ টার বেশি কলা থাওয়া ঠিক না। কারণ কলায় রয়েছে স্টার্চ ও ট্যানিক অ্যাসিড। এই দুটি উপাদানের মধ্যে স্টার্চ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ায় আর ট্যানিক অ্যাসিড হজমের সমস্যা করে। তাই যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে তারা অতিরিক্ত কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
- যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা থাকে তাহলে তাদের দৈনিক একটা বেশি কলা খাওয়া ভালো নয়। কলায় টাইরামইন থাকে, যা মাইগ্রেনের কারণ।
- কলার ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’ উপরের দিকেই। অর্থাৎ কলাতে শর্করার পরিমাণ অনেক বেশি। তাই যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের কলা খাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান।
- যাদের কিডনির সমস্যা আছে তাদের প্রতিদিন কলা খাওয়া ঠিক না। কারণ প্রতিদিন কলা খেলে শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাতে কিডনি ও পেশির ক্ষতি হতে পারে।
- যাদের স্থূলতা আছে তারাও কলা খাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান। কারণ অতিরিক্ত কলা স্থূলতা বাড়িয়ে দেয়।