দেশের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বব♛িতা। এই মুহুর্তে তিনি ছেলের সঙ্গে কানাডায় থাকলেও বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ভীষণ মন খারাপ বরেণ্য এই অভিনেত্রীর।
স্মরণকালের ভয়াবহতম বন্যায়꧋ কবলিত দেশ। ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খাগড়াছড়িসহ আশপাশের জেলাগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে আছে অর্ধকোটির বেশি মানুষ। এই মানবিক বিপর্যয়ে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন দেশ꧙ের চলচ্চিত্রশিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও। শান্তির বার্ত দিচ্ছেন সেনা বাহিনিসহ বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে এগিয়ে আসছে, এটাই অনেক সাহসের বিষয়, এমনই অভিমত ববিতার।
ববিতা বলেন, ‘প্রতিটি মুহূর্ত কানাডায় অনেক উৎকণ্ঠা, উদ্বিগ্নতার মধ্য দিয়ে কাটছে। নানা সংবাদমাধ্যমে তো খবর শুনছি, পাশাপাশি আমার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকেও আপডেট নিচ্ছি।
বাংলাদেশে স্মরণকালের এ বন্যা প্রতিরোধে সব শ্রেণীর মানুষ যেভাবে কাঁধে কাঁধ রেখে সম্মিলিতভাবে কাজ করছে, তাতে আবারো প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশীরা জীবন বাজি রেখে কাজ করতে পারে।
সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্যাদুর্গত এলাকায় গিয়েꦺ বন্যাকবলিত মানুষকে উদ্ধার করছে, আবার তারা খাদ্যও সরবরাহ করছে।
নিরাপদ জায়গায় এনে বা⛄সস্থানের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। কেউ কেউ ব্যক্তিগভাবে ফান্ড সংগ্রহ করে নানা ধরনের খাবার নিয়ে বন্যাদুর্গতদের পাশে থাকছে। সবার মধ্যে যে এদের পাশে থাকার আন্তরিক প্রচেষ্টা, এটাই বাংলাদেশীদের চিরায়ত রূপ। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, দ্রুত যেন বন্যা থেকে আমরা পরিত্রাণ পাই।’
বর্তমানে সিনেমা থেকে দুরেই আছেন ববিতা। তার কাছে বেশ কয়েকজন পরিচালক গল্প শোনাতেওꦰ গিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো গল্পই তার মন ছুঁয়ে যায়নি। যে কারণে তাকে নতুন সিনেমায় দেখার সুযোগও হয়ে ওঠেনি। আদৌ আর ববিতাকে নতুন সিনেমায় দেখা যাবে কিনা তা এখন সময়ের ব্যাপার।
চলচ্চিত্রের ৭০-৮০-র দশকের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্র🍰ী ছিলেন ববিতা। তিনি সত্যজিৎ রায়ের অশনি সংকেত চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র অঙ্গনে প্রশংসিত হন। ববিতা ৩০০ এর বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি ১৯৭৬ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রবর্তনের পর টানা তিনবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন।