বিখ্যাত বিজ্ঞান স♒াময়িকী নেচারের সেরা ১০ ব্যক্তিত্বের তালিকায় বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষꦑ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্থান পেয়েছেন। নেচার তাকে ‘নেশন বিল্ডার’ আখ্যা দিয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) নেচার সাময়িকীর ওয়েবসাইটে প্রকাশি♉ত প্রতিবেদনে 𝔍বলা হয়েছে, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে কীভাবে গবেষকেরা আমাদের পৃথিবীকে গড়ছেন তার স্বীকৃতি এই তালিকা।
এ বছরের তালিকায় আবহাওয়া পূর্বাভাসের নতুন ধারণা থেকেꦯ শুরু করে একটি জাতিকে নেতৃত্🎉ব দেওয়ার বিষয় স্থান পেয়েছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে নেচার বলেছে, বাংলাদেশে স্বৈরাচারী সরকারের পতনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীরা শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেশের নেতৃত্ব দিতে আমন্ত্রণ জানানোর দাবি জানিয়🌠েছিলেন। এটি ছিল ইউনূসের জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ ছয় দশকের পেশাজীবনে তিনি কখনো রাষ্ট্র পরিচালনা꧋র দায়িত্ব পালন করেননি।
ড. ইউনূসের সঙ্গে ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করে অ্যালেক্স কাউন্টস বলেন, “তিনি আশির কোঠায়, কিন্তু তার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উজ্জ্বল। তাঁর সহানুভূতি র🤪য়েছে এবং তিনি একজন চম𝓰ৎকার যোগাযোগকারী।”
বাংলাদেশের চট্টগ্রামে জন্ম নেওয়া ড. ইউনূস ১৯৬০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং পরিবেশগত অর্থনীতির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নিকোলাস জর্জꦰেসকু-রোগেনের অধীনে পড়াশোনা করেন।
ড. মু꧟হাম্মদ ইউনূসের যুগান্তকারী উদ্ভাবন হলো ‘ক্ষুদ্র ঋণ’। এই উদ্ভাবনের মাধ্যমে তিনি দেখিয়েছেন যে সঠিক ব্যবস্থাপনা থাকলে, ক্ষুদ্রঋণ সমাজের সবচেয়ে দরিদ্র অংশের জীবন বদলে দিতে পারে।
১৯৭০-এর দশকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকার সময়ে তিনি ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে কাজ করতেꦅ শুরু করেন। এরপর ১৯৮৩ স🍨ালে তিনি গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে তাঁর ক্ষুদ্র ঋণের ধারণা সারা বিশ্বে ‘মডেল’ হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউ♒নূস কতটা সফল হবেন, তা অন🉐েকটাই নির্ভর করছে গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর বলে নেচারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
