সিরিয়ায় দীর্ঘ ২ যুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালানোর পরপরই বিভিন্ন কারা꧃গার থেকে হাজারো মানুষকে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্ত𒆙 হয়ে কারাগারে কীভাবে, কেমন ছিলেন তার ‘রোমহর্ষক’ বর্ণনা দিয়েছেন অনেকে। অনেকেই বলছেন, বাশার আল-আসাদের এটি একটি ‘কসাইখানা’।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আ༒ল-জাজিরা।
বাশারের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে হালা নামের একজন জানান, তার নাম ছিল নম্বর ‘১১০০’। নিজের নামে পরিচিত হতে এখন꧟ো ভয় পান তি💞নি।
হালা তার কারাবন্দি জীবনের নির্মম স্মৃতিচারণ করে বলেন, “আমাকে আমার নাম ধরে ডাকা হতো না,🔯 স্রেফ নম্বর দিয়ে ডাকা হতো। তাই আমার নাম ছিল ১১০০।”
আল-জাজিরাকে হালা জানান, ২০১৯ সালে তাকে হামা শহরের একটি তল্লাশি চৌকি থেক🌠ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়েছিল। বাশার আল-আসাদের সরকার প্রায়ই সন্দেহভাজন সরকার বিরোধীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে তাদের গ্রেপ্তার করত এবং পাশবিক নির্যাতন চালাত। হালাকে গ্রেপ্তারের পর 🍌আলেপ্পোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারাগারে বন্দী ছিলেন।
সিরিয়ার বিদ্র🌟োহী বাহিনীগুলো গত ২৯ নভেম্বর আলেপ্পোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছানোর পর তিনিসহ অসংখ্য মানুষ ওই কারাগার থেকে মুক্ত হন।
বিদ্রোহী বাহিনী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) কারাগার খুলে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে হালা বলেন, “আমরা কখনো ভাবতেই পারিনিꦜ যে, কখনো দিনের আলো দেখতে পাবো।🌱 বিশ্বাসই হচ্ছে না যে, এটি সত্যি হয়েছে।”
মুক্তিদাতাদের সম্পর্কে হালা বলেন, “এই আনন্দ ছিল অপরিসীম; ইচ্ছা করছিল, তাদের জড়িয়ে ধরে চুমু খাই। আমরা চিৎকার করে তাদের ধন্য বলছিলাম। আমি যখন আমার 💯পরিবারের ক💎াছে পৌঁছাই, তখন আনন্দের মাত্রা আরও বেড়ে গিয়েছিল। মনে হচ্ছিল, যেন আবার আমার জন্ম হয়েছে।”
এইচটিএস আলেপ্পোয় পৌঁছানোর পর বেশ কিছু অবকাঠামোর পাশাপাশি আলেপ্পোর প্রধ🌠ান কারাগারটিও খুলে দেয়। এরপর বাহিনীটি আলেপ্পো থেকে দামেস্কের দ🗹িকে অগ্রসর হয়। তারা পুরো পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে।
মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটসের তথ্য অনুযায়ী, হালাসহ♏ আল-আসাদের কারাগারে অন্তত ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬১৪ জন বন্দী ছিলেন।
সিরিয়ার কারাগারগুলো ছিল বাশꦜার আল-আসাদের রেজিমকে টিকিয়💦ে রাখার অন্যতম মূল স্তম্ভ।