একাডেমি অব মোশন পিকচার্স আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের সাবেক সভাপতি ও অস্কারজয়ী 🐻প্রযোজক ওয়াল্টার মিরিশ আর নেই। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) তার মৃত্যু হয়। ম✤ৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিল ১০১ বছর।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে একাডেমির এক বিবৃতিতে মিরিশের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে বার্ধꦆক্যজনিত অসুস্থতায় মৃত্যু হয়েছে তার।
একাডেমির প্꧙রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিল ক্রেমার এবং একাডেমির প্রেসিডেন্ট জ্যানেট ইয🌄়াং এক বিবৃতিতে বলেছেন, একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের সাবেক সভাপতি ও নির্দেশক ওয়াল্টারের মৃত্যুর কথা শুনে গভীরভাবে শোকাহত।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ওয়াল্টার একজন সত্যিকারের স্বপ্নদর🦋্শী, একজন প্রযোজক এবং একজন শিল্পনেতা ছিলেন। চলচ্চিত্র সম্প্রদায় এবং একাডেমির ওপর শক্তিশালী প্রভাব ছিল তার। আমাদের প্রধান হিসেবে এবং একাডেমির গভর্নর হিসেবে বহু বছর ধরে কাজ করেছেন তিনি। চলচ্চিত্র নির্মাণ এবং একাডেমির প্রত🌠ি তার আবেগ কখনোই ক্ষুণ্ণ হয়নি এবং তিনি একজন প্রিয় বন্ধু এবং উপদেষ্টা ছিলেন। এই কঠিন সময়ে তার পরিবারকে এই কঠিন সময়ে আমাদের ভালোবাসা এবং সমর্থন জানাচ্ছি।
১৯২১ সালে নিউ ইয়র্কে জন্মগ্রহণ করেন ওয়াল্টা🅘র। ম্যাডিসন-উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয় এবং হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে অধ্যয়ন করার আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় একটি বোমারু বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থাযꦫ় কাজ করেছেন তিনি।
অস্কারের সাবেক সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি প্রডিউসার গিল্ড অ্যাওয়ার্ডসহ মর্যাদাপূর্ণ অ্যাওয়ার্ডগুলোর পৃষ্ঠপোষক ও নির্দেশক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। একাডেমির সভাপতি হিসেবে ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত চারটি মেয়াদে এবং একাডেমির গভর্নর হিসেবে ১৫ বছর দায়ℱিত্ব পালন করেছেন ওয়াল্টার।
এছাড়া একজন প্রযোজক হিসেবে তিনি ‘দ্য অ্যাপার্টমেন্ট’, ‘ওয়েস্ট সাইড স্টোরি’, ‘ইন দ্য হিট অব দ্য নাইট’র মতো কালজয়ী ক্লাসিক সিনেমা তৈরি করেছেন ওয়াল্টার। ‘ইন দ্য হিট অব দ্য নাইট’র জন্য অস্কার জয় করেন তিনি। এছাড়া ‘দ্য গ্রেট এসকেপ’, ‘দ্য পিং💎ক প্যানথার’, ‘দ্য থমাস ক্রাউন অ্যাফেয়ার’র মতো সিনেমাও প্রযোজনা করেছেন তি🗹নি।
ব্যক্তিজীবনে তিনি ১৯৪৫ সালে প্যাটꦇ্রিসিয়াকে বিয়ে করেছিলেন ওয়াল্টার। ২০০৫ সালে স্ত্রীর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত🎉 তারা সুখী দাম্পত্যজীবন কাটিয়েছেন। মৃত্যুর সময় ওয়াল্টার তিন সন্তান অ্যান, অ্যান্ড্রু, লরেন্সসহ তার নাতি-নাতনিদের রেখে গেছেন।