সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে প্রশ্ন রেখে অঝোরে কাঁদলেন অভিনেত্রী ও সংগীতশিল্পী রিয়া। ‘বোন থেকে শত্রুতে’ পরিণত হয়ে চিত্রনায়িকা নিপুণের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তিনি।
নিপুণের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার আগে রিয়া বলেন, “গত বছর বাংলাদ﷽েশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পিকনিকেও নিপুণ আপু আমাকে ছোট বোনের মতো দেখতেন। পিকনিকের স্টেজে আমাকে গান গাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। ওই বছর গান গাইতে না পারলেও এ বছর আমি পিকনিকের স্টেজে গান করি। নিপুণ আপুর গাড়িতে করেই পিকনিকে গিয়েছিলাম। কিন্তু গান গাওয়ার পরই একটি ছোট ইস্যু নিয়ে আমাদের মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হয়।”
সংগীতশিল্পী রিয়া আরও বলেন, “এবারের পিকনিকে গান গাওয়ার পর আমার গান সবার এত ভালো লাগে যে সবাই আমাকে উপহার হিসেবে হাজার টাকা উপহার দিতে শুরু করে। এরপর মঞ্চে উঠে আবারও একটি গান গাইতে অনুরোধ করে। আমি সবার অনুরোধে দ্বিতীয়বারের মতো মঞ্চে গান গাইতে উঠলে তাতে রিঅ্যাক্ট করেন নিপুণ।”
জানা গেছে, ওই সময় নিপুণ রিয়ার ওপর অভিযোগ তুলে বলেন, দর্শকদের অনুরোধ করে দ্বিতীয়বার মঞ্চে উঠতে চাইছেন রিয়া। যে কথাটি মেনে নিতে পারেননি রিয়া। সঙ্গে সঙ্গে রিয়া বলেন, “আমি প্রতিদিন স্টেজে গান গাই। অনুরোধ করে দ্বিতীয়বার মঞ্চে ওঠার চেষ্টা করিনি।” এরপরই এ পিকনিক স্পট থেকে দ্বন্দ্ব শুরু হয় নিপুণ-রিয়ার।
সম্প্রতি এ দ্বন্দ্ব এমনই পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে যে, সেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে দূরত্ব তৈরি হয়ে ‘বোন থেকে শত্রুতে’ পরিণত হয়েছেন তারা। অথচ আগে দেখা হলেই নিপুণ আপু আমাকে বুকে জড়িয়ে নিতেন।
ক্যামেরার সমান কাঁদতে কাঁদতে রিয়া বলেন, “এ বছর সদস্য পদের চাঁদা দিয়েছি। আমি যদি সদস্য না হই তবে আমার কাছ থেকে কেন চাঁদা নেওয়া হবে? চাঁদা দেওয়ার পর মাত্র কয়েক দিন পর জানতে পারি, আমি আর সমিতির সদস্য নই।”
সদস্যপদ বাতিল হওয়া প্রসঙ্গে রিয়া বলেন, “সদস্যপদ বাতিল হলে কেন আমার কাছ থেকে চাঁদা নিল কর্তৃপক্ষ। তাই আমার মনে হয়েছে, সমিতির সদস্যদের ভোট না নিয়ে আমাকে সমিতি থেকে বাদ দিয়েছেন নিপুণ আপু।”
সদস্যপদ বাতিল হলে কেন আমার কাছ থেকে চাঁদা নিল কর্তৃপক্ষ। তাই আমার মনে হয়েছে, সমিতির সদস্যদের ভোট না নিয়ে আমাকে সমিতি থেকে বাদ দিয়েছেন নিপুণ আপু।
সবশ♔েষে একটা কথাই রিয়া বলেন, সদস্যপদ বাতিল🌠 প্রসঙ্গে বলা হয়েছে আমি একজন গায়িকা, নায়িকা নই। অথচ আমি প্রথম অভিনেত্রী, তারপর গায়িকা।