• ঢাকা
  • বুধবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২০ ভাদ্র ১৪৩১, ৩০ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


বন্যায় লক্ষ্মীপুরে বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪, ০৫:৫১ পিএম
বন্যায় লক্ষ্মীপুরে বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ

ভয়াবহ বন্যার কবলে রয়েছেন লক্ষ্মীপুরের ৫ উপজেলার বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন ধরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকায় পানিবন্দী বাসিন্দাদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি ও চর্মরোগসহ বিভিন্ন পানি বাহিত রোগ। এতে হা🐻সপাতালগুলোতে বেড়ে🅘ছে রোগীর চাপ। শয্যা সংকটে মেঝেতে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন অনেক রোগী। আক্রান্তদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন নার্সসহ সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে কলেরা স্যালাইন, সিরাপ সালফুটামল, হিসটাসিন ও ডায়রিয়া এন্টিবায়োটিকসহ ওষুধের তীব্꧋র সংকট দেখা দিয়েছে। বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে স্যালাইনসহ ওষুধ কিনতে হচ্ছে এসব🌳 সরকারি হাসপাতালের রোগীদের।

সরেজমিনে ১০০ শয্যার লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীর চাপে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। এক একটি বেডে꧂ গাদাগাদি করে তিন-চার জন করে রোগী চিকিৎসা নিচ্ꦇছেন। অনেক রোগীই বেডে জায়গা না পাওয়ায় মেঝেতেই বিছানা পেতে সারিবদ্ধভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নার্স সংকটে রোগীর চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

ডায়🧜রিয়া ওয়ার্ডের ব্রাদার নোমান হোসেন বলেন, “১০ বেডের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বর্তমানে ভর্তি রোগীই আছে ৯৫ জন। এক দুজন নার্স দিয়ে এতো রোগীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা খু🐽বই কষ্টকর। একজনের স্যালাইন লাগাতে গেলে-দশ জন ডাকে ওষুধ দিতে। তার ওপরে স্যালাইন ও ডায়রিয়া এন্টিবায়োটিক ওষুধ সংকট। এখন রোগীর স্বজনরা বাইরে থেকে কিনে আনলে তা দিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে নিচ্ছি।”

দুদিন ধরে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে একই বেড ভাগ করে আরও দুই রোগীর সঙ্গে ৭ মাসের শিশু মিরাজকে নিয়ে ভর্তি আছেন মান্দারি ইউনিয়নের বাসিন্দা তাসলিমা আক্তার। তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, “১০ দিন ধরে বাড়িতে কোমর সমান পানি। টয়লেট ও ডোবার নোংরা ময়লা বন্যার পানিতে একাকা🌳র। এতে আমার ৭ মাসের ছেলের জ্বর আর ডায়রিয়ায় খুব খারাপ অবস্থা। সরকারি হাসপাতালে এসে আরও বিপদে পড়েছি। শত শত মানুষের মধ্যে থেকে সন্তানের সাথে আমরাও অসুস্থ হয়ে পড়েছি।”

একই কথা বললেন পৌর শহরের থেকে শিশু কন্যা তাসুকে নিয়ে ভর্তি দ🤪িনমজুর খোকন। তিনি বলেন, “বন্যার পানি পচে চারদিকে ডায়রিয়াসহ নানান অসুখ দেখা দিয়েছে। আমার ১০ বছরের মেয়ের ডায়রিয়ায় খুব খারাপ অবস্থা। সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েও স্যালাইনসহ সব 🦂ওষুধই বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনতে হচ্ছে। কিছু বললে নার্সরা বলে ওষুধ নাই কোথা থেকে দিবো?”

ডায়রিয়া বিভাগের ইনচার্জ লিলু রানী দাসℱ বলেন, গত তিন দিনে ৩ শতাধিক ডায়রিয়া ও জ্বর নিয়ে রোগী ভর্তি হয়েছে। যেভাবে রোগী ভর্তি হচ্ছে তারা সবই বন্যা আক্রান্ত এলাকার। ১০ জনের বেড তো খালি নেই। মেঝেতেও হাঁটার জায়গা নেই। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

লিলু রানဣী দাস আরও জানান, হাসপাতালে কলেরা স্যালাইন, সিরাপ সালফুটামল, হিসটাসিন ও ডায়রিয়া এন্টিবায়োটিকসহ ওষুধের তীব্র সংকট। যা ছিলো সব রোগীদের সমহারে বণ্টন করা হয়েছে। রোগীরা এখন বাইরে থেকে ওষুধ কিনছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জান🧜ানো হয়েছে।

লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জ🧸ন ডা. আহাম্মদ কবীর বলেন, বন্যার কারণে ডায়রিয়াসহ পানি বাহিত রোগের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে শুরু থেকে আশ্রয় কেন্দ্রসহ বিভিন্ন এলাকায় ৬৪টি মেডিকেল টিমের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। তবে হাসপাতালগুলোতে রোগী বাড়🦋ায় কলেরার স্যালাইনসহ ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দু-তিন দিনের মধ্য স্যালাইনসহ ওষুধ সরবরাহ করা হলে সংকট নিরসন হবে।

Link copied!