চাঁদের ছায়া পড়ে সূর্য যাবে পুরোপুরি 🎐ঢেকে। নিভে যাবে দিনের সব আলো। নেমে আসবে রাতের আঁধার। পাখিরা হঠাৎ তড়িঘড়ি ধরে নীড়ে ফিরবে। আকাশের সব আলো নিভে ফুটে উঠবে কোটি তারার খই। অভূতপূর্ব সেই দৃশ্য দেখে অনে🐟কে ভীত হয়ে পড়বে। হ্যাঁ, মহাজাগতিক এমন বিরল ঘটনাই ঘটতে যাচ্ছে ৮ এপ্রিল। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৪৩ মিনিট থেকে দিবাগত রাত ২টা ৫২ মিনিটের মধ্যে।
না, বা🦩ংলাদেশ থেকে বিরল দৃশ্যটি দেখা যাবে না। শুধু যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডার নির্দিষ্ট স্থান থেকে দেখা যাবে এমন অভূতপূর্ব দৃশ্য। ক্ষণটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, দিনের বেলায় রাত নেমে আসার সেই মহাজাগতিক দৃশ্য স্থায়ী হবে ১ থেকে সাড়ে ৪ মিনিট। টেক্সাসে সবচেয🐈়ে দীর্ঘ সময় অর্থাৎ ৪ মিনিট ২৭ সেকেন্ড পর্যন্ত দেখা যাবে পূর্ণ সূর্যগ্রহণের দৃশ্য।
উত্তর আমেরিকার কয়েক লাখ মানুষ জীবনের অন্যতম সেরা সেই বিস্ময়কর দৃশ্য দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। যেসব অঞ্চল থেকে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে সেসব অঞ্চলে তারা যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। এর মধ্যে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম জলপ্রপাত নায়াগ্রা জলপ্রপাত অন্যতম। এর হৃদয়ছোঁয়া নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখতে এমনিতেই বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ ভিড় করেন। তবে এবার পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখতে সেখানে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক যাবেন। অবশ🔯্য, হাঙ্গামা এড়াতে সেখানে ইতোমধ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জান🉐াচ্ছেন, ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা, স্পেন, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল ও আইসল্যান্ডের নির্দিষ্ট স্থান থেকেও আংশিক ♔সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। ফলে এসব অঞ্চলেও ভিড় থাকবে। ক্যামেরা বা বাইনোকুলার তাক করা থাকবে সূর্যের দিকে।