• ঢাকা
  • সোমবার, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১৮ ভাদ্র ১৪৩১, ২৭ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


১ সপ্তাহে তিন পদোন্নতি, কে এই বাবুল


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২৪, ১০:০০ এএম
১ সপ্তাহে তিন পদোন্নতি, কে এই বাবুল
বাবুল মিঞা

সরকার পরিবর্তনের পর এক সপ্তাহের মধ্যে তিনটি পদোন্নতি বাগিয়ে ন▨িয়েছেন বাবুল মিঞা। বহুল আলোচিত ক্রেস্ট কেলেঙ্কারির ঘটনায় ওএসডি হয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এই জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব। এখন জনপ্রশাসন মন্ত▨্রণালয়ে তদবির করছেন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্ব (পদায়ন) পেতে।

সোম𓃲বা൲র (২ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যম আজকের পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। 

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাবুল মিঞা বিসিএ𓄧স ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা। একসময় শেখ হাসিনা সরকারের প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলামের একান্ত সচিবও (পিএস) ছিলেন। অথচ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিএনপি-জামায়াতের ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তার তালিকায় নাম লিখিয়ে পরপর তিনটি পদোন্নতি বাগিয়েছেন। এগুলোর মধ্যে গত ১৩ আগস্ট প্রথম 𒊎পদোন্নতি পান উপসচিব পদে। দুই দিনের মাথায় ১৫ আগস্ট হয়ে যান যুগ্ম সচিব। এর তিন দিনের মাথায় ১৮ আগস্ট আরেকবার পদোন্নতি পেয়ে হন অতিরিক্ত সচিব।

জানতে চাইলে বাবুল মিঞা নিজেকে বিএনপিপন্থী কর্মকর্তা দাবি করে বলেন, “আমার পেছন☂ে একটি চক্র কাজ করছে অনেক আগে থেকেই। বিএনপিপন্থী বলে আমি প্রথমবার ২০১২ সালে, দ্বিতীয়বার ২০১৩ সালে বঞ্চিত হই। এরপর আমি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব হয়ে এলে ক্রেস্ট ক্রয় কমিটির সদস্য করা হয়। আমি ছিলাম কনিষ্ঠ সদস্য। ক্রেস্ট জালিয়াতির তদন্তে আমার সম্পৃক্ততা পায়নি তদন্ত কমিটি।”

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মহ💝ান স্বাধীনতাযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশি বন্ধু ও সংগঠনকে সম্মাননা জানানোর সিদ্ধান্ত হয়। তখন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতি🍸মন্ত্রী ছিলেন এ বি তাজুল ইসলাম। 

২০১১ থেকে ২০১৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়ক, রাজনীতিবিদ, দার্শনিক, শিল্পী-সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, বিশিষ্ট নাগরিক ও সংগঠনকে সম্মা🍃ননার সময় দেওয়া ক্রেস্টে যে পরিমাণ স্বর্ণ থাকার কথা ছিল, তার বদলে দেওয়া হয়েছিল পিতল,🙈 তামা ও দস্তামিশ্রিত সংকর ধাতু। 

ক্রেস্ট ক্রয় কমিটির প্রধান ছিলেন তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) গোলাম মোস্তফা।ꦯ আর সদস্য ছিলেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এনামুল কাদের খান ও সিনিয়র সহকারী সচিব বাবুল মিঞা।

এই কেলেঙ্কারি ফাঁস হলে চারদিকে শোরগোল পড়ে যায়। সেই পরিস্থিতিতে ক্রেস্ট ক্রয় কমিটির তিনজনকেই ওএসডি করে সরকার। বাবুল মিঞা ওএসডি হন ২০১৪ সালের ৯ মে। এরপর শেখ হাসিনা সরকারের আꦉমলে আর পদায়ন পাননি।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বি🦩এনপি-জামায়াত ঘরানার বঞ্চিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিড়ে যান বাবুল মিঞা। বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ব্যানারে তিনিও পদোন্নতির জন্য আন্দোলন শুরু করে সামনের সারিতে চলে আসেন। এরপর একে একে সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে, উপসচিব থেকে যুগ্ম সচিব পদ𝐆ে এবং সবশেষে যুগ্ম সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি বাগিয়ে নেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণকারী এই কর্মকর্তা।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর বাবুল মিঞা ২০১১ সালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব পদে বদলি হন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলামের এলাকার কর্মকর্তা হিসেবে তার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী হন আ ক ম মোজাম্মেল হক। এ সময়✱ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হন সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম। আস্থাভাজন কর্মকর্তা হওয়ায় তাজুল ইসলাম নিজের পিএস হিসেবে বেছে নেন বাবুল মিঞাকে। ২০১৪ সালের ২০ এপ্রিল থেকে ৭ মে পর্যন্ত পিএসের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। 

এ সময় ক্রেস্ট জালিয়♛াতির বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশি🍒ত হওয়ায় তাকে ওএসডি করা হয়।

বিএনপিপন্থী হলে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলামের পিএস হলেন কী কꦅরে—এমন প্রশ্নের জবাবে বাবুল মিঞা বলেন, “আমি কখনো কোনো রাজনৈতিক দল করিনি। আমি কিন্তু প্রতিমন্ত্রীর পিএস ছিলাম না। তাজুল ইসলাম স্যার যখন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হন, তখন আমার প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে তিনি পিএস করে নেন। এরপরꦉই ২০১৪ সালে আমাকে ওএসডি করা হয়।”

Link copied!