• ঢাকা
  • রবিবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১, ২৭ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


এক মাসে বিদ্যালয়ের ১৯ ছাত্রীর বাল্যবিয়ে


নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪, ০৯:৫০ পিএম
এক মাসে বিদ্যালয়ের ১৯ ছাত্রীর বাল্যবিয়ে

নাটোরের গুরুদাসপুরে চাঁচকৈড় শাহীদা কাশেম বালিকা বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের উপস্থিতি কমেছে আশঙ্কাজনক হারে। গত এক মাসে বিদ্যালয়ের অন্তত ১৯ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিꦺকার ꦬহয়েছে।

জানা যায়, বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়া ছাত্রীদের বেশিরভাগই এখন সংসার-ধর্ম নিয়ে ব্যস্ত। ছাত্রীদের বাল্যবিয়ের ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষꦕকরাও।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, দেশজুড়ে চলা ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে খুব গোপনে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছাত্রীদের বাল্যবিয়ে দিয়েছেন তাদের অভিভাবকরা। দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় বাল্যবিয়ে রোধে শিক্ষকরাও তেমন কোনো ভ🌜ূমিকা নিতে ⭕পারেননি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিগার সুলতানা বলেন, “বেশকিছুদিন বন্ধ থাকার পর দেশের পরিস্থিতি স্বাভাকি হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু বিদ্যালয়ে পাঠদান চালু হলেও সপ্তম থেকে দশওম শ্রেণির ১৯ জন মেধাবী ছাত্রীকেꦕ বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত দেখা যায়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় তাদের বাল্যবিয়ে হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ম শ্রেণির ৪ জন, অষ্টম শ্রেণির ২ জন, নবম শ্রেণির ৬ জন, দশম শ্রেণির ৭ জন ছাত্রী রয়েছে।”

সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিতু খাতুন জানায়, বিদ্যালয় খোলার পর শ্রেণিকক্ষে সহপাঠী নিপা, সেতু, রোজিনা আক্তার, এলেনা খাতুন অনুপস্থিত রয়েছে। লেখাপড়ার প্রবল ইচ্ছা থাকলেও সহপাঠি🥀দের বাল্যবিয়ের ফলে তারও বিদ্যালয়ে আসার আগ্রহ কমেছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক জালাল উদ্দিন জানান, তার বিদ্যালয়ের যে ১৯ ছাত্রী বিয়ের পিঁড়িতে বসেছে, তাদের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থীও ছিল। সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে জাল জন্ম সনদ তৈরির মাধ্যমে একশ্রেণির বিবাহ রেজিস্ট্রার ও নোটারি পাবলিক এসব বিয়ে পড়িয়েছেন। তবে অভিভাবকদের দাবি, রাস্তা-ঘাটে বখাটেদ🏅ের উৎপাতসহ নানা কারণে অপ্রাপ্ত বয়সেই তারা সন্তানদের বাল্যবিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, টাকা হলেই কম্পিউটার থেকে সহজেই জাল জন্মসনদ💯 হাতে পাওয়া যায়। তাছাড়া অর্থলোভি কাজীর যোগসাযোজ, শিক্ষকদের অনিহা, দুর্বল প্রশাসনিক ভূমিকার কারণেই বালജ্যবিয়ে রোধ করা সম্ভব হয়ে উঠছে না।  

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেখামনি পারভিন বলেন, বাল্যবিয়ের খবর তাদের কেউ জানাননি। এ🎐 কারণে কোনো ব্যবস্🐭থাও নিতে পারেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা আক্তার বলেন, “শাহিদা কাশেম বালিকা বিদ্যালয়ের ১৯ ছাত্রীর বা๊ল্যবিয়ের বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমি বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফেরানোর জন্য অভিভাবক সমাবেশসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

Link copied!