নিত্যপণ্যেরে উচ্চমূল্যে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। কখনো চালের দাম বাড়ছে, কখনোবা ডালের। তবে চালের বাজারের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই নতুন করে ভোজ্যতেল ও আটার দাম বাড়ায় দুশ্চিন্তায় পড়ে🍷ছেন ক্রেতারা। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় এ দুই পণ্যের দাম বৃদ্ধির অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে বাজারে।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ১৫ জানু👍য়ারির বাজার বিশ্লেষণের তথ্য বলছে, এক মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি আটার দাম ৪.৩৫ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি কেজি আটার প্যাকে💟ট ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার সংকটের মধ্যে বেশি দ🅰ামে ডলার কিনে পণ্য আমদানি করায় বাড়তি লোকসান থেকে বাঁচতেই দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছꦛেন তারা। এছাড়াও পণ্য সংকটের ঘাটতি মেটাতে দাম না বাড়ালে বাজারে পণ্য সরবরাহ করা মুশকিল হয়ে পড়বে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক তেল ও আটা-ময়দা ব্যবসায়ী সংবাদ প্রকাশকে বলেন, নির্বাচনের আগে থ🧔েকেই বাজার ব্যবস্থা খারাপ। ডলা𝕴র সংকটের কারণে পণ্য বন্দরে আটকে আছে, খালাস করতে পারছি না আমরা। আবার ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য বেশি দামে ডলার কিনে কিছু পণ্য আনতে হচ্ছে। সেটা দিয়ে পুরোপুরি চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে, ডলারের দাম বেশি, অন্যান্য খরচও বেড়ে গেছে। সবকিছু মিলিয়ে ভোজ্যতেল নতুন দামে বিক্রি করেও আমাদের লাভ থাকছে না। যে দামে আনছি সে দামেই ছাড়তে হচ্ছে। প্রতিষ্ঠান খরচ, কর্মীদের বেতন, দোকান ভাড়া এসবও ব্যবসার একটা অংশ। ব্যবসায় লাভ করতে এসে যদি লোকসান গুণতে হয় তাহলে আমরা বাঁচবো কিভাবে।
বাজার ঘুরে দꦍেখা গেছে, প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৩ টাকায়, যা নির্বাচনের আগে বিক্রি হয়েছে ১৬৯ টাকায়। ৫ লিটারের বোতলের দাম ৮২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮৪৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। দাম বাড়িয়ে ৫ লিটারের বোতল নির্বাচনের আগে বাজারে ছাড়লেও নতুন দামের এক লিটারের সয়াবিন তেল নির্বাচনের পরই বাজারে এসেছে।
এ👍ছাড়াও দুই সপ্তাহ আগে ২ কেজির আটার প্যাকেট বিক্রি হতো ১০০-১১০ টাকা, তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২০ টাকা।💝 পাশাপাশি ২ কেজির প্যাকেট ময়দা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে তেল কিনতে এসেছিলেন মো. রাজিব শেখ। তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় অ๊বাক তিনি। সরকারের পক্ষ থেকে দাম বাড়ানোর কোনো নির্দেশনা না এলেও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকেই দায়ী করেন এই ক্রেতা।
সংবাদ প্রকা🌃শ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের দেশে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট বড় সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেট ভাঙা খুব কঠিন। বাজার ব্যবস্থাপনা সিন্ডিকেটের কারণে ভেঙে পড়েছে। সাধারণ মানুষদের বলির পাঠা বানিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীꦯরা। সরকারের সদিচ্ছা না থাকায় বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, যখনই মন চায় কয়েকজন ব্যবসায়ী একত্রে গ্রুপিংয়ের মাধ্যমে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। এর প্রভাব পড়ে আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের ওপর। আমরা না পারি ভালোভাবে সংসার চালাতে, না পারি পরিবারের সদস্যদের মুখে চাহিদা মতো খাবার তুলে🍒 দিতে। আমরা চাই বাজার পরিস্থিতি সব সময় স্বাভাবিক 𝔉থাকুক।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর ২০ লাখ লিটার ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে আগামী রমজানে ভোক্তাদের ওপর আরও চাপ তৈরি হবে; যে কারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় 🎃বাজারে নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ নিচౠ্ছে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পণ্যের মজুতদারির মাধ্꧑যমে কেউ যাতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে, সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। ইতিমধ্যেই ভোক্তা অধিদপ্তরকে মার্কেট সার্ভেলেন্স বাড়ানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।