কোটা সংস্কার ও ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতদের কথা স্মরণ করে আবেগঘন হয়ে পড়েন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “পৃথিবীর কোনো দেশে ছাত্রদের এত ত্যাগ করতে হয়নি, কোথাও নাগরিকরা এতটা মানবাধিকার বঞ্চিꦦত হয়নি, যা বাংলাদ💧েশে হয়েছে।”
রোববার (১ꦕ৮ আগস্ট) বিদেশি ক𝓡ূটনীতিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
গুলিতে পঙ্গু হওয়া এক যুবকের কথা স্মরণ করে ড. ইউনূস বলেন, “এক যুবক আমাকে জানায়♋, ‘আমি ক্রিকেটার হতে চেয়েছিলাম, কিন্তু এখন আ🐭মার পায়ের দিকে তাকান।’”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “যারা সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছেন, আমি সেই সমস্ত বীর ছাত্র এবং নিরীহ মানুষদের প্রতি গভীর ꦅশ্রদ্ধা জানাই। আꦇমাদের সাম্প্রতিক স্মৃতিতে অন্য কোনো দেশের ছাত্রদের তাদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা প্রকাশের জন্য এত মূল্য দিতে হয়নি; যেখানে একটি বৈষম্যমুক্ত, ন্যায়সঙ্গত এবং পরিবেশবান্ধব একটি দেশের স্বপ্ন দেখতে হয়েছে, যেখানে প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত থাকবে।”
ড. ইউনূস ব💝লেন, “দেশ নিয়ে ছাত্রদের একটি স্বপ্ন আমাদের মুগ্ধ করেছে, যে স্বপ্ন একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। ছাত্ররা এমন একটি দেশের স্বপ্ন দেখছে, যেখানে মানুষ তাদের রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা জাত𓄧িগত পরিচয়–নির্বিশেষে, নিজেদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে ও মতপ্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবে। সরকার গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা সমুন্নত রাখবে।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমি এমন একটি সময়ে এসে দেশের দায়িত্বভার নিয়েছি, যেখানে অনেক দিক থেকেই পুরোপুরি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ক্ষমতায় থাকার চেষ্টায় শেখ হাসিনার স্বৈরাচার সরকার ༺দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিচারব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। দীর্ঘ দেড় দশকের নির্মম নৃশংসতার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক অধিকার দমন করা হয়েছিল। নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। তরুণ প্রজন্ম তাদের ভোটাধিকারের চর্চা না করে🌠ই বেড়ে উঠেছে। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাংক লুট হয়েছে। আর ক্ষমতার অপব্যবহার করে লুণ্ঠন করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় কোষাগার।”
ড. ইউনূস আরও বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা। সশস্ত্র বাহিনী বেসামরিক শক্তির সহায়তায় কাজ চালিয়ে যাবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না পরিস্থিতি নিশ্চিত হবে। সব ধর্মীয় ও জাতিগত গো♈ষ্ঠীর নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত ক🐻রতে অঙ্গীকারবদ্ধ অন্তর্বর্তী সরকার।”