• ঢাকা
  • বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


প্রতিমায় ডাকের সাজ যেভাবে এলো


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২১, ০১:০৯ পিএম
প্রতিমায় ডাকের সাজ যেভাবে এলো

দেবীদুর্গা প্রতিমার কাঠামোর 🦂পিছনে সাদা সূক্ষ্ম শোলার কাজ থাকে। এটিই ডাকের সাজ নামে পরিচিত। ধবধবে সাদা রঙের হয় ডাকের সাজ। এর মধ্য🦂ে প্রতিমার মূর্তি অসাধারণভাবে ফুটে উঠে।

ডাকের সাজ অনেকে কাছে ঢাকের সাজ না✅মেও পরিচিত। দুর্গাপুজোর প্রচলণের পর থেকেই ডাকের সাজও শুরু হয়। পূজার ঐতিহ্যকে এটি সসম্মানে বহন করে।

ডাকের সাজের প্রচলন কীভাবে হলো, এর পেছনে রয়েছে ছোট এক ইতিহাস। পূজা উপলক্ষে  জা༺র্মানি থেকে সর্বপ্রথম ডাকের মাধ্যমে শোলার কাজটি সরবরাহ করা হয়। সেই থেকেই এর নামকরণ 𝕴হয় ডাকের সাজ।

১৭৫৭ সালের কথা, পলাশীর 🍨যুদ্ধের পর কলকাতা শোভাবাজার রাজবাড়িতে প্রথম দুর্গাপূজা হয়। বাঙালিরা এরপর থেকেই দূর্গাপূজা ঐতিহ্যের সঙ্গে উদযাপিত করে💖 আসছে। তত্‍কালীন ব্রিটিশরাও ঐতিহ্যমণ্ডিত এই পুজোয় অংশীদার হয়।

ওই সময় দুর্গাপূজার সূচনা হয় আমিষ ভোজন থেকে সুরা পরিবেশন পর্যন্ত। বাঙালির সঙ্গে ইউরোপীয়দের আত্মিক যোগ স্থাপিত হয়। তখন থেকেই দুর্🃏গা প্রতিমা সজ্জিত হয়ে আসছে ডাকের সাজে।

এছাড়াও পুরাণ কথানুযায়ী , হিমালয় কন্যা পার্বতীর বিবাহ স্থির হয় দেবাদিদেব মহাদেবের সঙ্গে। মহাদেবের ইচ্ছা ছিল বিয়েতে শোলার সাদা মুকুট পড🌌়ার। তিনি দৈবিক শক্তির দিয়ে নরম জাতীয় এক উদ্ভিদের। যা পরে শোলা গাছ নামে পরিচিতি পায়। কিন্তু কারিগর ও শিল্পী বিশ্বকর্মা অভ্যস্ত ছিলেন না নরম সূক্ষ্ম শোলার কাজে। এই সমস্যার কথা তিনি দেবাদিদেবকে জানান। মহাদেবের ইচ্ছায় তখন জলাশয়ে সৃষ্টি হয় সুকুমার নামক এক যুবকের। যিনি মালাকার নামে পরিচিত হন। সুকুমারের থেকে আস্তে আস্তে বিস্তার লাভ করে মালাকার সম্প্রদায়। বর্তমানে যারা শোলার শিল্পী নামে পরিচিত।

এরপর থেকেই দুর্গার প্রতিমায় মাটি , 💖বিভিন্ন ধাতু ও জরির কাজ থাকলেও ঐতিহ্যশালী পারিবারিকজ পূজায় এখনও ডাকের সাজের প্রচলন রয়েছে🔥।

Link copied!