• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৪, ১১ ভাদ্র ১৪৩১, ২১ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


অনলাইন রাজত্বে নারীরা


অনন্যা আশরাফ
প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২৪, ০২:৩২ এএম
অনলাইন রাজত্বে নারীরা
ছবি: সংগৃহীত

৮ মার্চ শুক্রবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এই দিবসকে সংক্ষেপে আইডব্লিউডি বলা হয়। প্রায় এক শতাব্দীরও আগ থেকে ৮ মার্চ নারী দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। বিশ্বজুড়🉐ে প্রতিবছরই পালিত হয় দিবসটি। নারীদের যথাযথ সম্মান জানানো, তাদের কাজের মূল্যায়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়াসহ নারীদের অধিকার রক্ষণের নানা দিককে গুরুত্ব দিয়েই দিবসটি পালিত হয়।

বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অঞ্চলে নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা, তাদের কাজের প্রশংসা এবং ভালোবাসা🔜 প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে পালন করা হয়। সেই সঙ্গে নারীদের অর্থন꧃ৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাফল্য অর্জনের উৎসবও উদযাপন হয় এই দিনে।

পৃথিবীর বুকে নারীদের অনেক ভূমিকা রয়েছে। তারা মা হিসেব𓄧ে, স্ত্রী হিসেবে সর্বক্ষণ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। অনেক কঠিন দায়িত্বও নারীদের সামলাতে হচ্ছে। জীবনকে সুখময় করে তুলতে তাদের ভূমিকা অসাধারণ। বর্তমান সময়ে ঘরে-বাইরে সব দিকে নারীরা নিজেদের প্রমাণ করছে। এমনকি আধুনিক যুগের অনলাইন প্লাটফর্মেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নারীরা।

বলা যায়, অনলাইনে রাজত্ব করছে নারীরা। অনলাইনে নারীদের কাজের পরিধি বেড়েছে। ঘরে বসেও অনেক নারী অনলাইনে ব্যবসার মাধ্যমে নিজেদের সামলম্বী করছে। যেকোনো প্রডাক্টের বিক্রিকে নতুন মাত্রা দিয়েছে অনলাইন শপিং। যার বড় একটা জায়গা জুড়ে রয়েছে নারীদের ভূমিকা। সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসে বিভিন্ন প্রডাক্ট নিয়ে দুর্দান্তভাবে প্রচার চালাচ্ছে নারীরা। এক সময় ব্যবসায়ী বলতে শুধু পুরুষদেরই বোঝাতো। কিন্তু এখন নারী ব্য✨বসায়ীরাও নিজেদের প্রমাণ করছে প্রতিটি পদক্ষেপে। অনলাইনে পোশাক, গহণা, ঘরের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস, নিজের হাতে রান্না করা ঘরোয়া খাবার বিক্রি করাসহ বিভিন্নভাবে জড়িয়ে রয়েছে নারীরা। যা এখন সত্যিই প্রশংসনীয়ꦑ।

বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছিলেন, ‍‍` ডিজিটাল বাংলাদেশে নারীরা ই-কমার্সে বিপ্লব সৃস্টি করছে। দেশে যত অনলাইন ও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আছে তার শ൲তকরা ৮০ ভাগ পরিচালনা করছে নারীরা।“

শুধু তাই নয়, নারী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এখন চোখে পড়বে নারী ইনফ্লুয়েন্সারদেরও। যারা নিজের প্রতিদিনের কাজকর্ম দিয়ে অন্যদের প্রভাবিত করছেন। অনলাইনে এসব ইনফ্লুয়েন্সার নারীরা একচেটিয়া রাজত্ব করছে বলেই ধারণা নেটিজেনদের। লাখ লাখ ভিউয়ার হচ্ছে তাদের পোস্ট করা ভিডিওতে। হাজারো সাধুবা🌊দ পাচ্ছেন। আবার এসব ভিডিওღ থেকে অনেকে কিছু শিখেও নিচ্ছে। অনলাইনের এসব ভিডিওর ভিউয়ার থেকেও প্রতিদিন রোজগার করছেন নারী ইনফ্লুয়েন্সাররা।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন নারীরা। যার যার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে অদম্য গতিতে। নারীর এই এগিয়ে যাওয়াই দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির এক অ🅘প্রতিরোধ্য যাত্রা। এই অগ্রযাত্রার ফলেই নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অবস্থান এখন বিশ্বে ৭ম।

পর্দার পেছনে নয়, বরং পর্দার সামনে এসে এখন কাজ করছেন নারীরা। পোশাক কারখানায় অধিকাংশই নারী কর্মী। যারা অন্যের হয়ে কাজ করেন। কিন্তু এখন অনেক নারী নিজেই পোশাক তৈরি করে অনলাইনের ꦗমাধ্যমে আয় করছেন। নিজেরাই সাবলম্বী হচ্ছেন।

ঘরের খাবারের স্বাদও এখন অনলাইনেই পাওয়া যায়। কারণ নারীরা এখন ঘরে বসেই নিজেদের রন্ধনকৌশল দিয়ে সুস্বাদু রান্না অনলাইনে বিক্রি করছেন। যেকোনো সময়ই হোমমেড ফুড পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনে। যার অধ𝐆িকাংশই পরি💎চালনা করছেন নারীরা।

অনলাইন ব্যবসা সম্পর্কে রূপাঞ্জল ফ্যাশনের মালিক নাসরিন সুলতানা পিংকি বলেন, “তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে জীবন-জীবিকার জন্য নারীদের এখন অন্যের ওপর নির্ভরশীল হতে হয় না। দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি, ধৈর্য, সঠিক পরিকল্পনা আর মেধা থাকলে নারীরা ঘরে বসেই অনলাইন ব্যবসার মাඣধ্যমে সহজেই সুপ্রতিষ্ঠিত হতে পারছেন। এমনকি হতে পারছেন সফল একজন উদ্যোক্তাও। দেশের অসংখ্য নারী এখন অনলাইন ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সফলতা পাচ্ছেন।"

অনলাইনে স্বেচ্ছায় স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতও রয়েছেন নারী চিকিত্সকরা। যদিও অনলাইনে এখন কমবেশি সব চিকিত্সকই রোগী𒉰কে পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে নারী বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান সহজ করে দিতে নারী চিকিত্সকরা অনলাইনে বিভিন্ন পেইজ বা গ্রুপ পরিচালনা করছেন। যা চিকিত্সা ব্যবস্থায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।

শুধুমাত্র ই কমার্স, ইনফ্লুয়েন্সার এসবেই সীমাবদ্ধ নেই। নারীরা এখন প্রত𝕴িবাদের মাধ্যমও বেছে নিয়েছেন অনলাইনকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি কপালে বাঁকা টিপ পরে সেলফি তোলে তা পোস্ট দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন নারীরা। নারীদের প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবেই তাদের এই উদ্দ্যোগ ছিল। অনলাইন মাধ্যমে এমন অভিনব প্রতিবাদেও নারীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। যেখানে এগিয়ে এসেছিলেন নাট্যকর্মীসহ সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের নারীরা।

ডিꦜজিটাল যুগে সোশ্যাল মিডিয়ায় নারীদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে এই অংশগ্রহণমূলক ধারাবাহিকতা আর একই কণ্ঠে মিলিত হয়ে অন্যায়ের প্রতি প্রতিবাদে তাদের উপস্থিতিই জানান দিচ্ছে﷽ অনলাইনে এখন তাদেরই রাজত্ব।

Link copied!