সারা দেশের ওপর দিয়ে বইছে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ। গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই কিনছেন এসি। তবে যাদের এসি কেনার সামর্থ নেই, তাদের বিকল্প উপায় খুঁজে নিতে হয়। এই গরমে কীভাবে নিজের ব🐲াসা ঠান্ডা রাখবেন, জেনে নিন সে উপায়।
সকাল সকাল পর্দা টেনে দিন
সকালের মিঠে রোদ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। তাই সকালে রো꧟দ উঠতে না উঠতেই পর্দা টেনে দিন। এতে করে সহজে ঘরে তাপ ঢুকবে না। ঘরও তুলনামূলক ঠান্ডা থাকবে।
দেয়ালে হালকা রঙের ব্যবহার
রং যত গাঢ় হয়, তত আলো শোষিত হয় এবং যত হালকা হয়, তত আলো বেশি প্রতিফলিত হয়। ঘরে যত বেশি আলো শোষিত হয়, তত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই ঘরের ভেতর যতটা সম্ভব হ💃ালকা রং ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে করে দিনের বেলা ঘর তাপ ধরে রাখবে না। ফলে আলো চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘর ঠান্ডা হতে শুরু করবে।
ভারী সুতি পর্দা ব্যবহার
জানালায় ভারী সুতি পর্দা ব্যবহার করুন। এ ধরনের পর্দা ঘরে আলো প্রবেশ করতে বাধা দেয়। এ ছাড়া হালকা রঙে𒐪র বিছানার চাদর ও বালিশের কাভার ব্যবহার করুন। এতে করে বিছানাপত্র তাপ ধরে রাখবে না। ঘরও থাকবে তুলনামূলক ঠান্ডা।
ঘর রাখুন অন্ধকার
ঘরে আলোর পরিমাণ যত কম থাকে, ঘর তত বেশি ঠান্ডা থাকে। ♔রাতে কাজ করলে চেষ্টা করবেন ঘর যতটা সম্ভব কম আলোকিত রাখতে। টিউবলাইটের পরিবর্তে এলইডি লাইট ব্যবহার করা গেলে ভালো। এতে করে ঘর তুলনামূলক ঠান্ডা থাকবে।
ঘরে রাখতে পারেন ছোট গাছ
ঘরের ভেতর ছোট্ট একটি গাছ, যেমন ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়,ဣ তেমনি তাপমাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। গাছ ঘরের ভেতর জমা হওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়, ফলে ঘরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে। মানিপ্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম-জাতীয় গাছ ঘরের সৌন্দর্যবর্ধন ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, উভয় কাজেই বেশ উপকারী।
ভেজা ভেজা করে ঘর মুছুন
ঘরের তাপমাত্রা কম রাখতে 💝একটু ভেজা 🐼ভেজা করে ঘর মুছুন। প্রয়োজন হলে একবারের পরিবর্তে ঘর মুছতে পারেন বেশ কয়েকবার। মেঝের পাশাপাশি জানলার কাচও পানি দিয়ে মুছুন। এতে বেশ কিছু সময় ঘর ঠান্ডা থাকবে।
টেবিল বা স্ট্যান্ড ফ্যানের সামনে বরফ
ঘর ঠান্ডা করার অন্যতম কার্যকর উপায় হলো বরফ। টেবিল বা স্ট্যান্ড ফ্যানের সামনে এক বাটি বরফ রাখতে পারেন। এতে করে বরফের ঠা💦ন্ডা বাতাস ঘরজুড়ে ঠান্ডা অনুভূতির সৃষ্টি করে। বরফ গলে গেলেও ঘরজুড়ে অনেকক্ষণ ঠান্ডা অনুভূতি বজায় থাকে। তবে লক্ষ রাখবেন, এ সময় যেন ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ থাকে।