শীতের ঋতু মানেই এটা সেটা তৈরি 𝓰করে সকাল কিংবা 🌸সন্ধ্যায় মুখরোচক খাবার খাওয়া। পিঠা বানানোর পাশাপাশি অনেকে শখ করে বিভিন্ন ফ্লেভারের কেক, কুকিজও বানাতে পছন্দ করেন। কিন্তু এসব খাবার ঘরের চেয়ে দোকানেরটাই বেশি সুস্বাদু হয়। তবে দোকান থেকে কিনে খেয়ে তো আর মন ভরে না।
তাই ঘরে বানিয়ে খেতে চান অনেকে। আর তখন হয়ে যায় বিপত্তি। কেক কখনও নরম হয় তো, কখনও শক্ত হয়ে যায়। দোকানের মতো তুলতুলে হতে চায় না অনেক সময়। এক෴্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখলেই এর সমাধান হয়ে যায়। চলুন জেনে নিই সেগুলো কী-
- কেক তৈরির সবগুলো উপকরণ যেন ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ফ্রিজ থেকে বের করে সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা দুধ বা মাখন দিয়ে কেক বানালে কখনোই ফুলবে না।
- বেকিং করার সময় ময়দা, চিনি, মাখন ও অন্যান্য উপকরণের পরিমাপ অবশ্যই সঠিক রাখতে হবে। যদি উপকরণের মাত্রা কমবেশি হয়ে যায় তাহলে কেক আর ভালো হবে না। এর জন্য চাইলে উপকরণ মাপার জন্য বেকিং কিট কিনে নিতে পারেন। আন্দাজ করে নয়, রেসিপি ঠিক করে জেনে তবেই কেক বানানো উচিত। তাহলে কেক আর নষ্ট হবে না।
- কেক, কুকি অথবা মাফিন বানানোর সময় এক চিমটি লবণ ব্যবহার করুন। এতে স্বাদ বাড়বে। ময়দাসহ সব শুকনা উপকরণ চালুনিতে ছেঁকে তবেই ব্যবহার করুন।
- চিনি আর মাখনকে যত বেশি সম্ভব নাড়িয়ে একেবারে মসৃণ করে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এই পদ্ধতিকে ক্রিমিং বলে। ক্রিমিং ভালো হলে কেক নরম হবেই। ময়দা মেশানোর সময় খুব বেশি ফেটানোর প্রয়োজন নেই। আলতো হাতে কেবল মিশ্রণের সঙ্গে ময়দা ভালো করে মিশিয়ে নিলেই হবে।
- বেকিংয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ওভেনটি প্রি হিট করে নেওয়া। অনেকেই প্রেশার কুকারে কেক তৈরি করেন। সেক্ষেত্রেও কুকারটি গরম করে নিতে হবে।
সূত্র: আনন্দবাজার