মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী। কথায় বলে, নিশ্বাসের বিশ্বাস নেই। যেকোনো মুহূর্তেই জীবন শেষ হয়ে যেতে পারে। কেউ স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেন। কেউ আবার অস্বাভাবিকভাবে প্রাণ হারাণ। তাই জন্ম যেমন সত্যি। মৃত্যুও অনিবার্য। পৃথিবীতে কেউ স্থায়ী নয়। প্রকৃতির প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত🃏্যুর স্বাদ নিতে হবে বলে বর্ণনা রয়েছে।
আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, ‘তোমার পূর্বেও কোনো মানুষকে আমি অনন্ত জীবন দান করিনি। সুতরাং তোমার মৃত্যু হলে তারা কি চিরঞ্জীব হবে? প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ আস্𒊎বাদন করতে হবে। আমি তোমাদের মন্দ ও ভালো দ্বারা পরীক্ষা করে থাকি এবং তোমরা আমার কাছেই প্রত্যাবর্তিত হবে’ (সূরা আম্বিয়া : আয়াত ৩৪-৩৫)।
এই আয়াতে আল্লাহতায়ালা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন প্রাকৃতিক✱ নিয়মের মধ্যে মৃত্যু একটি অবশ্যম্ভাবী। মৃত ব্যক্তি তার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে আমল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এই পৃথিবীতে করা নেক ও পুণ্যের কাজ থেকে পরপারের জীবনে মহান আল্লাহর আশ্রয় লাভ করেন। তবে মৃত ব্যক্তির জন্য় দোয়া এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করতে হয়।
মৃত ব্যক্তিদের জন্য করণীয়
হাদিসে এসেছে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, মꦛানবী (সা.) বর্ণনা করেছেন, ‘মানুষ যখন মারা যায়, তখন তার সব আমলের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি আমলের দরজা বন্ধ হয় না। ক.) সদকায়ে জারিয়া খ.) যদি কেউ এমন সন্তান রেখে যায়, যে সন্তান বাবা-মায়ের জন্য দোয়া করবে গ.) এমন দ্বীনি শিক্ষা রেখে যায়, যার দ্বারা মানুষ উপকৃত হতে থাকে।’
তা✤ই মৃত ব্যক্তির জন্য আমরা পবিত্র কুরআনে♎র এ দোয়াটি করবো। নবী কারিম (সা.) যেভাবে দোয়া করতেন, তার কয়েকটি এখানে দোয়া উল্লেখ করা হয়েছে। (কবরস্থ ব্যক্তির জন্য দোয়া)
اللهُـمِّ اغْفِـرْ لَهُ وَارْحَمْـه، وَعافِهِ وَاعْفُ عَنْـه ، وَأَكْـرِمْ نُزُلَـه ، وَوَسِّـعْ مُدْخَـلَه ، وَاغْسِلْـهُ بِالْمـاءِ وَالث🧜َّـلْجِ وَالْبَـرَدْ ، وَنَقِّـهِ مِنَ الْخطـايا كَما نَـقّيْتَ الـثَّوْبُ الأَبْيَـضُ مِنَ الدَّنَـسْ ، وَأَبْـدِلْهُ داراً خَـيْراً مِنْ دارِه ، وَأَهْلاً خَـيْراً مِنْ أَهْلِـه ، وَزَوْجَـاً خَـيْراً مِنْ زَوْجِه، وَأَدْخِـلْهُ الْجَـنَّة ، وَأَعِـذْهُ مِنْ عَذابِ القَـبْر وَعَذابِ النّـار
উচ্চারণ : আল্লাহহুম্মাগ ফিরলাহু ওয়ারহামহু, ওয়া আফিহি ওয়া ফু আনহু; ওয়🧸া আকরিম নুযুলাহু, ওয়া ওয়াসসি মাদখালাহু; ওয়াগসিলহু বিল মায়ি ওয়াস সালজি ওয়াল বারাদি, ওয়ানাক্কিহি মিনাল খাতা-ইয়া কামা ইউননাককাস সাওবুল♛ আব ইয়াযু মিনাদদানাসি; ওয়াবদিলহু দা-রান খায়রান মিন দারিহি, ওয়া আহলান খাইরান মিন আহলিহি; ওয়া যাওজান খাইরান মিন যাওজিহি। ওয়া আদখিলহুল জান্নাতা, ওয়া আইজহু মিন আযাবিল কাবরি ওয়ামিন আযাবিন নার।
অর্থ : হে আল্লাহ্, তাকে ক্ষমা করুন এবং তাকে দয়া করুন। শান্তিতে রাখুন এবং তার থাকার স্থানটিকে মর্যাদাশীল করুন। তার কবর প্রশস্থ করে দিন। বরফ ও তুষা💛রের শুভ্রতা দিয়ে, তাকে গুনাহ থেকে এমনভাবে পরিচ্ছন্ন করে দিন— যেমন ময়লা থেকে সাদা কাপড় পরিষ্কার হয়। তাকে দুনিয়ার বাসস্থানের চেয়ে উত্তম বাসস্থান, পরিবার ও সঙ্গী দান করুন, হে মাবুদ, তাকে জান্নাতে দাখিল করুন, তাকে কবর আর দোজখের আজাব থেকে রক্ষা করুণ। (মুসলিম, হাদিস : ২/৬৩৪)
‘রাব্বানাগফিরলানা ওয়া লি ইখওয়ানিনাল্লাযিনা ছাবাকুনা বিল ইমানি ওয়ালা তাজআল ফি কুলুবিনা গিল্🅰লাল লিল্লাযিনা 𒀰আমানু রাব্বানা ইন্নাকা রাউফুর রাহিম’ (সূরা হাশর : আয়াত ১০)। অর্থ : ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের ক্ষমা কর এবং আমাদের সেসব ভাইকেও ক্ষমা কর যারা আমাদের আগে ইমান এনেছে আর মুমিনদের প্রতি আমাদের হৃদয়ে কোনো বিদ্বেষ রেখ না। হে আমাদের পালনকর্তা! নিশ্চয় তুমি অতি স্নেহশীল ও বারবার কৃপাকারী।’
আল্লাহ রাসুল (সা.)-এ🀅র সাহাবি আওফ বিন ইবন মালিক (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুল (সা.)-কে মৃত ব্যক্তির জন্য এমন দোয়া করতে ꦓদেখে— আকাঙ্ক্ষা করেছিলাম যে, যদি সেই মৃত ব্যক্তিটি আমি হতাম।’
রাসুল (স🉐াꦆ.) কবর জিয়ারত করে এভাবে দোয়া করতেন বলে হাদিসে এসেছে—
📖السَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا أَهْلَ الْقُبُورِ يَغْفِرُ اللَّهُ لَنَا وَلَكُ🦹مْ أَنْتُمْ سَلَفُنَا وَنَحْنُ بِالْأَثَرِ
উচ্চারণ : আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবুর, ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়া লাকুম💃; আনতুম সালাফুনা ওয়া নাহনু বিল💙 আসারি।
অর্থ : হে কবরস্থানের বাসিন্দাগণ, তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের প্রতি আল্লাহ রহম করুন। আমরাও আপনাদের পদাঙ্ক অনুসরণ পদাঙ্ক অনুসরণ করব/আপনাদেরﷺ সঙ্গে🍰 মিলিত হব।’ (মুসলিম, হাদিস : ৯৭৪; মুসলিম, মিশকাত হাদিস : ১৭৬৭)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা𝓡.) বলেন, ‘তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা করো এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো’ (আবু দাউদ)
এদিকর 😼কারো মৃত্যুর পর কুলখানি এবং চল্লিশা করার কোনো শিক্ষা ইসলামে নেই। বরং মৃতের শোকাহত পরিবারের জন⛎্য খাবার আয়োজন করার নির্দেশ করেছে ইসলাম (আবু দাউদ)।