• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


জিলহজের প্রথম ১০ দিন যেভাবে আমল করবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
জিলহজের প্রথম ১০ দিন যেভাবে আমল করবেন
ছবি: সংগৃহীত

আরবি ১২ মাসের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্ব ও ফজিলতপূর্ণ হচ্ছে জিলহজ মাস। এটি হজ পালনের মাস। আত্ܫমত্যাগের মাস। পবিত্র কোরআনে এই মাসের ফজিলতের কথা বর্ণিত রয়েছে। বিশেষ করে এ মাসের প্রথম ১০ দিন প্রত্যেক মুসলমানদের কাছেই বেশ গু🐻রুত্বপূর্ণ।

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এ মাসের প্রথম ১০ রাতের কথা উল্ল🅷েখ করেছেন- ‘শপথ ফজর-কালের এবং ১০ রাতের’। (আল ফাজর : ১-২) মুফাসসিরিনদের মতে, ওই ১০ রাত বলতে জিলহজের প্রথম ১০ দিনকে  উদ্দেশ্য করা হয়েছে।

জিলহজ মাসে মুসলিম উম্মাহর বিশেষ দু’টি  ইবাদত করে থাকেন। পশু  কোরবানির মাধ্♐যমে আত্মত্যাগ করেন। আর হজ পালনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করে থাকেন। তাছাড়াও এই মাসের প⛦্রথম ১০ দিনের আমল বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় আল্লাহ তায়ালার কাছে অধিক পছন্দনীয় ও ফজিলতপূর্ণ।

হাদিসে রাসূল সা:-জিলহজ মাসের প্র🍨থম ১০ দিনের গুরুত্বের কথা জানিয়েছেন। ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণিত নবী সা: বলেছেন, ‘জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমলের চেয়ে অন্য কোনো দিনের আমলই উত্তম নয়।’ তারা জিজ্ঞেস করলেন, জিহাদও কি (উত্তম) নয়? নবী সা: বললেন, ‘জিহাদও নয়। তবে সে ব্যক্তির কথা ছাড়া যে নিজের জান ও মালের ঝুঁকি নিয়েও জিহাদে যায় ও কিছুই নিয়ে ফিরে আসে না।’ (সহিহ বুখারি-৯৬৯)

তাই জিলহজ মাসের প্রথম ১০দিন বিশেষ কিছু আমল করলে প্রত্যেক মুসলিম বেশি নেকি লাভ করবে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লা♏ভ করবেন। এই সময় মুসলিমরা তাদের গুণহা মাফের জন্য়ও আমল করতে পারেন।

তাকবির ও তাসবিহ পড়া

বছরের প্রতিটা দিনই তাকবির ও তাসবিহ করা উত্তম। তবে জি✅লহজের প্রথম ১০ দিন তা൲কবির (আল্লাহু আকবার), তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ), তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ও তাসবিহ (সুবহান আল্লাহ) পড়া সুন্নত।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা: থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘এ ১০ দিনের নেক আমল করার চেয়ে আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় ও মহান কোনো ♉আমল নেই। তাই তোমরা এ সময়ে তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ), তাকবির (আল্লাহু আকবার) ও তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ) বেশি বেশি করে পাঠ করো।’ (মুসনাদে আহমদ-৫৪৪৬)

সিয়াম পালন ও নফল ইবাদত

জিলহজের প্রথম ১০দিন সিয়াম পালন করা উত্তর। মুসলিমরা এই সময় রোজা রাখতে পারেন। আর রাতে নফল ইবꦡাদত করতে পারেন। হাদিস শরিফে রাসূল সা: এই ১০ দিনের প্রতিটি রোজাকে পুরো বছরের রোজার সমতুল্য বলেছেন। সেই সঙ্গে রাতের নফল ইবাদতকে শবেকদরের ইবাদতের সমতুল্য বলেছেন।

আবু বকর ইবনে নাফি আল বাসরি রাহ. ... আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- রাসূল সা: বলেন, ‘এমন কোনো দিন নেই যে দিনসমূহের ইবাদত আল্লাহর কাছে জিলহজ মাসের ১০ দিনের 🍰ইবাদত অপেক্ষা অধিক প্রিয়। এর প্রতিটি দিনের রোজা এক বছরের রোজার সমতুল্য। এর প্রতিটি রাতের ইবাদত লায়লাতুল কদরের ইবাদতের সমতুল্য।’ (তিরমিজি-৭৫৮, ইবনে মাজাহ-১৭২৮)

আরাফার দিনের রোজা

জিলহজের প্রথম ১০ দিন গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার বড় একটি কারণ হলো ইয়াওমে আরাফাহ। যা পুরো বছরের সবচেয়ে গুরুত্ব ও ফজিলতপূর্ণ দিন। হজরত কাতাদাহ রা: বলেন, রাসূল সা: ইরশাদ করেন, ‘🤪আরাফার দিনের একটি রোজার দ্বারা পূর্বের ও পরের এক বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যায় এবং আশুরার রোজার দ্বারাও পূর্ববর্তী এক বছরে💫র গুনাহ মাফ হয়ে যায়।’ (তিরমিজি-১৫৭, মুসনাদে আহমদ-২২৫৩৫)

অন্যদিকে আরাফায় অবস্থানকারী হাজীদের জন্য রোজা রাখা মুস্তাহাব নয়। কেননা, মহানবী সা: রোজাবিহী🌞ন অবস্থায় আরাফায় অবস্থান করেছিল🦩েন।

সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব রহ. থেকে বর্ণিত, আয়িশা রা: বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘আরাফাহ দিবসের তুলনায় এমন কোনো দিন নেই যেদিন আল্লাহ তায়ালা সর্বাধিক ꦦলোককে দোজখের আগুন থেকে মুক্তি দান করেন। আল্লাহ তায়ালা নিকটবর্তী হন, অতঃপর বান্দাদের সম্পর্কে মালায়িকার সামনে💟 গৌরব করেন ও বলেন, তারা কী উদ্দেশে সমবেত হয়েছে (বা তারা কী চায়)?’ (সহিহ মুসলিম-৩১৭৯)

চাঁদ দেখার পর বিশেষ আমল

জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার পর থেকে কোরবানির 𒁏পশু জবাই করা পর্যন্ত কোরবানি আদায়কারীকে বিশেষ একটি আমল করতে হয়। এই সময়ের মধ্যে নখ, চুল ও শরীরের অবাঞ্ছিত লোম কাটায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এটি মুস্তাহাব। যে ব্যক্তি এ নিয়ম পালন করবে, হা🐻জীদের সঙ্গে এটুকু সাদৃশ্য গ্রহণ করায় সে সওয়াবের অধিকারী হবে।

উবাইদুল্লাহ ♛ইবনে মুআজ আম্বারি রাহ. ... নবী এর সহধর্মিণী উম্মে সালামা রা: থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘যে ব্যক্তির কাছে কোরবানির পশু আছে সে যেন জিলহজের নতুন চাঁদ দেখার পর থেকে কোরবানি করা পর্যন্ত তার চুল ও নখ না কাটে।’ (মুসলিম-৪৯৫৯, আবু দাউদ-২৭৮২)

তাকবিরে তাশরিক

জিলহজ মাসের পাঁচ দিন তাকবিরে তাশরিক আদায় করা আদায় করা। তাকবিরে তাশরিক হলো- ‍‍`আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ অর্থ : ’আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ ছা𝓀ড়⛦া কোনো ইলাহ নেই; আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; সব প্রশংসা মহান আল্লাহ জন্য।’

৯ জিলহজ ফজর নামাজের পর থেকে শুরু করে তাকবিরে তাশরিক শেষ হবে ১৩ জিলহজ আসার নামাজের পর। পাঁচ দিন ২৩ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর এটি পড়া ওয়াজিব। তাকবিরে তাশরিক﷽ পুরুষরা উচ্চ স্বরে আর নারীরা স্বশব্দে পড়বে। অর্থাৎ নারীদের তাকবিরের শব্দ যেন (গাইরে মাহরাম) অন্য লোকে না শোনে।

তাকবিরে তাশরিক নিয়ে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘তোমরা নির্দিষ্🍌ট দিন💙গুলোতে আল্লাহকে স্মরণ করো’। (সূরা আল-বাকারা-২০৩)

হজ এবং ওমরাহ সম্পাদন করা

হজ এবং ওমরাꩵহ পালন করা হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ আমল। রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘এক ওমরাহ থেকে আরেক ওমরাহ মধ্যবর্তী গুনাহের কাফফারাস্বরূপ আর কবুল হজের প্রতিদান কেবলই জান্নাত।’ (বুখারি-১৭৭৩, মুসলি♓ম-৩৩৫৫)

কোরবানি করা

জিলহজ মাসের ১০ তম দিনে পশু কোরবানির মাধ্যমে আত্মত্যাগের কথাও বলা রয়েছে। এর ফজিলত সম্পর্কে হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, হজরত জায়েদ বিন আরকাম রা: থেকে বর্ণিত, সাহাবায়ে কেরাম রাসূল সা:-কে জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! কোরবানি, ইহা কী? তিনি বললেন ‘তোমাদেন পিতা ইবরাহিম আ:-এর সুন্নত’। সাহাবায়ে কেরাম পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, এতে আমাদের জন্য কী রয়েছে? রাসূল সা: বললেন, ‘প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেক🐼ি পাওয়া যাবে’। সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ভেড়ার পশমের বিনিময়ে? রাসূল সা: বললেন, ‘ভেড়ার প্রতিটি পশমের বিনিময়েও একটি করে নেকি পাওয়া যাবে। (ইবনে মাজাহ-৩১২৭)। তাই সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলিমের জন্য় কোরবানি করা ওয়াজিব।

Link copied!