বর্তমান সময়ে মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় বাজার করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। এর মধ্যে বাজেটের মধ্যে থেকে অল্প টাক༺ায় বাজার করা রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হতে পারে। তবে সঠিক পরিকল্পনা এবং কিছু কৌশল প্রয়োগ করে অল্প টাকায় বেশি পরিমাণে বাজার করা সম্ভব। কীভাবে কম খরচে বাজার করে পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহ করা যায় চলুন জেনে আসি।
পরিকল্পনা অনুযায়ী বাজার করা
অল্প টাকায় বাজার করার জন্য সবচেয়ে গুরু൩ত্বপূর্ণ বিষয় হল পরিকল্পনা। বাজারে যাওয়ার আগে🍨 একটি নির্দিষ্ট তালিকা তৈরি করুন। শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে হবে। অপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনে টাকা অপচয় করবেন না। প্রতি সপ্তাহের খাবারের মেনু আগে থেকে ঠিক করে রাখুন। এতে বুঝতে পারবেন, কী কী কেনা প্রয়োজন।
পরিকল্পনা যেভাবে করবেন
পরিকল্পনা করার সময় অবশ্যই বর্তমান সময়ের দ্রব্যের দাম এবং খাবার সংরক্ষণের সময়কাল মাথায় রাখতে হবে। এমন জিনিস কেনা উচিত, যা বেশি দিন ভালো থাকে এবং যেগুলো বিভিন্ন𝐆 ধরনের খাবারে ব্যব🐈হার করা যায়। আলু, ডাল, চাল, পেঁয়াজ, এবং মশলাজাতীয় জিনিসগুলি দীর্ঘদিন ভালো থাকে। বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করা যায়। এসব জিনিস তালিকায় রাখুন।
বড় পরিমাণে কেনাকাটা করা
অল্প টাকায় বাজার করার 🅺একটি কার্যকরী উপায় হলো কিছু জিনিস বড় পরিমাণে কেনা। যেমন চাল, ডাল, আটা ইত্যাদি। এগুলো একবারে বেশি করে কিনলে, দাম অনেক কম পড়ে। পাইকারি দো🌱কান থেকে বা স্থানীয় হাট-বাজার থেকে এই ধরনের জিনিস কিনলে অনেক টাকা বাঁচাতে পারবেন। কিছু দোকান বা বাজারে সাপ্তাহিক বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়। সেগুলো সম্পর্কে আগে থেকে জানতে পারেন। সেই অনুযায়ী কেনাকাটা করুন।
মৌসুমি ফল ও সবজি কেনা
মৌসুমি ফল ও সবজি কেনা সবসময় সাশ্রয়ী হয়। কারণ এগুলো মৌসুমে বেশি উৎপাদন হয় এবং দামও কম থাকে। যেমন শীতকালে শাকসবজি অনেক সস্তায় পাওয়া যায়। আবার গ্রীষ্মকালে বিভিন্ন ফল পাওয়া যায়। মৌসুমের বাইরে এগুলোর দাম অনেক বেশি থাক❀ে। তাই মৌসুমি পণ্য কিনে খরচ কমাতে পারেন। স্থানীয় কৃষক বা হাট থেকে সরাসরি কেনাকাটা করলে বাজারের তুলনায় কম দামে সবজি ও ফল ♛পেতে পারেন। এতে মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভের অংশ বেঁচে যায়।
সাশ্রয়ী ব্র্যান্ড বা প্যাকেজ কেনা
ব্র্যান্ডেড পণ্যের পরিবর্তে সস্তা ও ভালো মানের ব্র্যান্ডের পণ্য কেনা একটি ভালো কৌশল হতে পারে। অনেক সময় বড় ব্র্যান্ডের পণ্যের পর𝐆িবর্তে স্থানীয় বা কম পরিচিত ব্র্যান্ডের পণ্য অনেক সস্তায় পাওয়া যায় এবং মানও ভালো হয়। কিছু সুপারশপ বা দোকানে নিজেদের তৈরি প্যাকেজিংয়ে চাল, ডাল, তেল ইত্যাদি বিক্রি করে। যা সাধারণত কম দামে পাওয়া যা💖য়। ২ বা ৩ কেজি প্যাকেজের পরিবর্তে ৫ বা ১০ কেজি প্যাকেজ কিনলে সেটাও তুলনামূলকভাবে সস্তা হয়।
অফার এবং ডিসকাউন্টের দিকে নজর রাখা
বিভিন্ন দোকান, সুপারশপ, এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রায়শ🐎ই বিভিন্ন অফার এবং ডিসকাউন্ট দেওয়া হয়। নিয়মিত এ ধরনের অফার সম্পর্কে খোঁজ রাখুন এবং প্রয়োজনীয় পণ্য সেগুলো থেকে কিনুন। খরচ অনেক কমবে।🔜 নির্দিষ্ট ঋতুতে বা উৎসবের আগে দোকানগুলোতে বিশেষ ছাড় পাওয়া যায়। অনলাইনে ক্যাশব্যাক, কুপন, এবং ডেলিভারি চার্জ ফ্রি সুবিধাও পাওয়া যায়। তাই সুযোগ বুঝে এই সুবিধাগুলো কাজে লাগাতে পারেন। কম টাকায় অনেক পণ্য কিনতে পারবেন।
অপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনা এড়িয়ে চলা
অল্প টাকায় বা🀅জার করার অন্যতম প্রধান কৌশল হল অপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকা। অনেক সময় বাজারে গিয়ে বিভিন্ন প্রলোভনে পড়ে এমন জিনিস কে🎃না হয়। যা আমাদের প্রয়োজন নেই। এ ধরনের অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা এড়াতে বাজারে যাওয়ার আগে একটি তালিকা তৈরি করুন। শুধুমাত্র সেই তালিকা অনুযায়ী কেনাকাটা করুন। বাজারে যাওয়ার আগে বাড়ি থেকেই খাবার খেয়ে যাবেন। নয়তো বাজারে গিয়ে বেশি খাবার কেনা হয়ে যাবে। যা বাজেটের বাইরে চলে যাবে।
সংরক্ষণ কৌশল জানা
বাজার থেকে কেনা খাবারগুলো যাতে দীর্ঘ সময় ভালো থাকে তার জন্য সংরক্ষণ কৌশল জানা প্রয়োজন। সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে পারলে পণ্যগুলো নষ্ট হবে না এবং দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যাবে। শাকসবজি ফ্রিজে ঠিকমতো রাখা, শুকনো খাব🐼ার যেমন চাল-ডাল ইত্যাদি শীতল ও শুষ্ক স্থানে রাখা উচিত। এভাবে খাবার সংরক্ষণ করলে একবার কেনা খাবার দীর্ঘদিন ব্যবহার করা সম্ভব এবং ফেলে দিতে হবে না। এছাড়া, কিছু খাবার যেমন মাংস, মাছ ইত🐟্যাদি বেশি পরিমাণে কিনে সংরক্ষণ করলে পরবর্তী সময়ে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হবে না।
নিজস্ব উৎপাদন করা
যদি সম্ভব হয়, নিজের বাসায় কিছু পণ্য উৎপাদন করার চেষ্টা করতে পারেন। যেমন ছাদে বা বারান্দায় টবে টমেটো, মরিচ, ধনেপাতা ইত্যাদি চাষ করা যায়। এতে বাজারের ওপর নির্ভরতা কমবে এবং কিছুটা হলেও খরচ সাশ্রয় হবে। বাড়ির আশপাশে জায়গা থাকে, তাহলে সেখানেও বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করতে পা🐻রেন। ছোট ছোট উদ্যোগগুলো বাজার খরচ কমাবে।