দেশের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে নীচে নামছে। তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি✃র বয়স্কদের নানা রোগ ব্যধীতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই এসময় বাড়ির বয়স্কদের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। চলুন জেনে নেই, বাড়ির বয়স্কদের শীতে যত্ন নেবেন যেভাবে-
- শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় বয়স্কদের সর্দি কাশি, হাপানীর মতো সমস্যা বেড়ে যায়। তাই এসময় খুব সকালে হাঁটতে না বেরনোই ভাল। রোদ উঠলে তারপর হাটতে নিয়ে যান। এতে চট করে ঠান্ডা লাগবে না।
- বয়স্করা যখনই বাইরে বেরোবেন মাস্ক যেন সবসময়ে সঙ্গে থাকে সেটা খেয়াল রাখবেন। কারণ শীতে বাতাসে দূষিত কণার পরিমাণ বেড়ে যায়। এছাড়া ধূলাবালিও সমস্যা তো আছেই। তাই শীতে বাইরে বেরুলে মাস্ক পরা জরুরি।
- শীতে জয়েন্টে ব্যথা বেড়ে যায়। বিশেষ করে বয়স্কদের এ সমস্যা বেশি হয়। কারণ এসময় আবহাওয়া ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি রোদও কম থাকে। তাই ভিটামিন ডির ঘাটতি দেখা দেয়। তাই এসময় বাড়ির বয়স্কদের শীতের দুপুরে বাইরে নিয়ে শরীরে রোদ লাগান।
- সকালে বা বিকেলে যখনই বাইরে বেরোবেন বয়স্করা, খেয়াল রাখবেন গায়ে যেন গরম জামাকাপড় থাকে। বিশেষ করে টুপি ও মাফলার খুবই জরুরি। পায়ে মোজা থাকলে ভাল হয়।
- শীতে রক্তনালি সংকুচিত হয়ে পড়ে। যার ফলে রক্তচাপ কমে যায়। রক্তচাপ বেশি কমে গেলে সমস্যা হতে পারে। তাই এসময় বয়স্কদের রক্তচাপ খেয়াল রাখবেন।
- বাড়ির বয়স্কদের সুষম খাবার খেতে দিন। মৌসুমী সবজি, ফল প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার কোন ভাবেই খেতে দেওয়া যাবে না। এতে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- বয়স্কদের উপযোগী ব্যয়াম তাদের করতে উৎসাহিত করুন। এতে মাংসপেশী সচল থাকবে। রক্তচলাচল স্বাভাবিক থাকবে। এমনকি যাদের জয়েন্টে ব্যথার সমস্যা আছে তাদের সেই সমস্যাও কমবে।