• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


মশা দিয়ে তৈরি কেক চেটেপুটে খাচ্ছে সবাই


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২৩, ০৫:৫৬ পিএম
মশা দিয়ে তৈরি কেক চেটেপুটে খাচ্ছে সবাই

ধরে নেওয়া যায় মশাই প্রধান শত্রু এখন। ডেঙ্গুর এই মৌসুমে জীবন ঝুঁকিপূর্ণ ಌসবার। তবে এটি আমাদের কাছে যন্ত্রণাদায়ক হলেও বিশ্বের এমন এক জাতি আছে তাদের জন্য মশা আশীর্বাদস্বরূপ। মশার উৎপাত থেকে র🍨ক্ষা পেতে আমরা অনেক কিছুই করি। কিন্তু তারা মশার উৎপাদন যেন বেশি হয় তাই চান।

আফ্রিকার লেক ভিꦕক্টোরিয়া এবং এর আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের কাছে বর্ষা এক উৎসবের সময়। কারণ এই মশা থেকেই তৈরি হয় কেক এবং স্যুপ। যা তাদের খুবই পছন্দের একটি খাবার।

প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে আফ্রিকার ভিক্টোরিয়া গ্রেট লেক অঞ্চলে উড়তে থাকে লাখ লাখ মশা। মশার ভিড়ে কালো হয়ে আসে আকাশ। অনেক সময় মশার কারণে দূরের অনেক কিছু দেখা যায় না। মশার পরিমাণ বাড়ার সাথে সাথে তাদের খুশিও বাড়তে থাকে। কারণ তাদের কাছে 🦹মশা হলো মাংস খাওয়ার প্রধান মাধ্যম।

আফ্রিকা🤪র এই অঞ্চলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বাস। এ🎀খনও অনেক লোক আছে যারা পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার বা বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারেন না। কিন্তু তারা এর বিকল্প খুঁজে নেন মশার কেক বা স্যুপ থেকে। এটি স্থানীয় খাবার যা মাংসের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মশা দিয়ে তৈরি কেকে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি, এমনকি গরুর মাংসের চেয়েও।

আফ্রিকায় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠা পানির লেক ꦍহলো ভিক্টোরিয়া লেক। ১৮৫৮ সালে ব্রিটিশ অভিযাত্রীরা লেকটি আবিষ্কার করেন। বিশাল লেকে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে কয়েক শ’ মিলিয়ন মশা জন্ম নেয়। যা পরবর্তিতে তাদের প্রোটিনের যোগান দেবে।

লেক ভিক্টোরিয়ার ছোট বড় সবাই এই উৎসবে যোগ দেয়। হাতে খালি হাঁড়ি নিয়ে তারা মশা সংগ্রহ করে। উড়তে থাকা মশার দলে একবার হাঁড়ি শূন্যে ঘোরালেই ꧒হাঁড়িতে জমা হয় মশার স্তূপ। সেই মশা থেকেই তৈরি হয় কেক।

কেক তৈরির জন্য প্রথমে সংগ্রহ করা মশা হাতে ডলে মন্ড করতে হয়। যা দেখতে অনেকটা ভর্তার মতো। সেই মন্ড ভাগ করে মাংসের চাপের (প্যাটি) মতো বানানো হয়। যেভাবে বার্গারের প্যাটি বানানো হয় ঠিক সেভাবে। এরপর সেগুলো ভাজা হয়। পাতলা প🧸্যানে তেল দিয়ে উল্টে-পাল্টে দুই পাশেই ভেজে নেওয়া হয়। এ সময় চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে মশার চাপের ঘ্রাণ। ভেতরের অংশ কাঁচা থাকলেও যদি বাইরের অংশে কালো হয়ে যায় তাহলেও সমস্যা নেই। এছাড়াও এই মিশ্রণ দিয়ে তারা স্যুপ তৈরি করেও খায়।

তৈরি মশার কেক খেতে অনেকটা মাছের 🍨বড়ার মতো। তাদের বিশ্বাস মশাগুলো ভিক্টোরিয়া লেকের আশপাশে থাকে বিধায় তাদের মাংস থেকে সামুদ্রিক খাদ্যের স্বাদ পাওয়া যায়। এ কারণে তাদের ধারণা মশার কেক তাদের দৈনন্দিন প্রোটিনের চাহিদা🃏 মেটাতে পারে।

তবে গবেষকরা বলছেন, এভাবে মশা খাওয়া নিরাপদ নয়। নানান ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে পারে এর ফলে। আফ্রিকান এই জনগোষ্ঠীর দাবি, তা💮রা শত শত বছর ধরে এভাবে মশা খেয়ে আ꧃সছেন। তাদের কখনো কোনো সমস্যা হয়নি।

আফ্রিকানের এই জনপ্রিয় খাবার ‘মশার কেক’, এক কামড়ে হাজার হাজার মশা। প্রোটিনের অন্যতম উৎস হলেও এটি আসলে তারা খেতে বাধ্য হয়েছেন। এটি তাদের জন্য কোনো বিলাসিতা নয়, বরং দারিদ্র্যের অন্যতম এক উদাহরণ। মূলত এই অঞ্চলের মানুষ পর্যাপ্ত খাদ্যের অভাജবেই বিভিন্ন পোকামাকড় খেয়ে থাকেন। এমনকি ক্ষুদা মেটাতে মাটির তৈরি বিস্কুটও খান তারা।

Link copied!