• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


ভয়াবহ খরায় জিম্বাবুয়ে, জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৪, ১০:৪০ এএম
ভয়াবহ খরায় জিম্বাবুয়ে, জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা
খরার কারণে শুকিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ের জলাশয়। ছবি : রয়টার্স

তিন বছর ধরে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশ জিম্বাবুয়ে ভয়াবহ খরায় ভুগছে। এরই জেরে এবার খরা মোকাবিলায় ‘জ꧃াতীয় দুর্যোগ’ ঘোষণা করেছে ꦐদেশটির সরকার। এছাড়া ক্ষুধা মোকাবিলায় বিপুল অর্থ প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে দেশটি।

বুধবার (৩ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্র💮িটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ওই প্রতি🎐বেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘস্থায়ী খরা সংকট মোকাবিলায় জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়া দেশটিতে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কম বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট খরা ও ক্ষুধা মোকাবিলায় তার দেশের ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। মূলত বৃষ্টিপাত কম হওয়ার ফলে দেশটির প্রায় অর্ধেক ভুট্টা ফসল নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

এদিকে শস্যের ঘাটতি জিম্বাবুয়েতে খাদ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে এবং এতে করে আনুমানিক ২৭ লাখ মানুষ ক্ষুধার মুখোমুখি হবে। এছাড়া প্রতিℱবেশী জাম্বিয়া এবং মালাউইও সম্প্রতি খরার কারণে রাষ্ট্রীয় দুরღ্যোগ বা বিপর্যয়ের ঘোষণা দিয়েছে।

কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, আফ্র🥃িকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশগুলোতে চলমান এই খরা হবে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) বলেছে, ১ কোটি ৩৬ লাখ মানুষ বর্তমানে এই অঞ্চলে ‘সংকট স্তরের’ খাদ্য🅷 নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়া ไব🅷লেন, “সমস্ত জিম্বাবুয়ের জন্য খাদ্য সুরক্ষিত করাই আমাদের অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে। জিম্বাবুয়ের কোনো নাগরিককে ক্ষুধায় আত্মহত্যা করতে বা মরতে হবে না।”

জিম্বাবুয়ে অবশ্য ইতিমধ্যেই খাদ্যমূল্যের কারণে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির শিকার হয়েছে। এই পরি🥃স্থিতিতে দেশটি এখন আন🎐্তর্জাতিক বাজারে পর্যাপ্ত ভুট্টা খুঁজে পেতে আঞ্চলিক ‘লড়াইয়ে’ যোগ দিয়েছে।

বিবিসি বলছে, জিম্বাবুয়ে একসময় আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে রুটির ঝুড়ি হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফসল এবং গবাদি পশুর ক্ষয়ক্ষতির পাশ🐈াপাশি মারাত্মক খরার সম্মুখীন হয়েছে দেশটি।

১৯৯২ সালে আফ্রিকার এই দেশটিতে সবচেয়ে খারাপ খরা ঘটেছিল। সেসময় দেশটির গবাদি পশুর এক-চতুর্থাংশই মারা গিয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ক্র💮মবর্ধমান শুষ্ক আবহাওয়া আবারও ফিরে এসেছে। এর আগে ২০১৬ সালে এবং এরপর ২০১৯ সালেও দেশটিতে খরা ঘোষণা করা হয়েছিল।

যদিও সব খরা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হয় না, তবে বায়ুমণ্ডলে অতিরিক্ত তাপ পৃথিবী থেকে আরও বেশি💫 আর্দ্রতা বের করে দেয় এবং এতে করে খরা আরও বেশি খারাপ হয়ে উঠছে।

উল্💛লেখ্য, শিল্প যুগ শুরু হওয়ার পর থেকে পৃথিবী ইতিমধ্যেই প্রায় ১.২ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় উষ্ণ হয়েছ🌠ে এবং বিশ্বের সকল দেশ কার্বন নির্গমন ব্যাপকভাবে হ্রাস না করলে তাপমাত্রা আরও বাড়তেই থাকবে।

Link copied!