লেবℱাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর কেনা পাঁচ হাজার পেজারের (যোগাযোগের যন্ত্র) ভ💮েতরে বিস্ফোরক রেখে দিয়েছিল ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। মঙ্গলবার লেবাননে পেজার বিস্ফোরণের ঘটনার মাস কয়েক আগেই এ কাজ করে তারা। লেবাননের একটি জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা সূত্র এবং অন্য একটি সূত্র রয়টার্সকে এসব কথা বলেছে।
গতকাল লেবাননজুড়ে কয়েক হাজার পেজꦗারে বিস্ফোরণ ঘ✱টে। এ ঘটনায় ৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত প্রায় ৩ হাজার জন।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের রাষ্ট্রদূতও এই হামলায় আহত হয়েছেন। পেজার হামলার দায় ইসরায়েলের ওপর চাপিয়ে পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে হিজবুল্ল🎶াহ। তবে এই হামলা সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত ইসরায়েল কোনো মন্তব্য করেনি।
কী এই পেজার
পেজার হলো যোগাযোগ মাধ্যমের একটি যন্ত্র। পেজারের যান্ত্রিক গঠন মোবাইলের মতো জটিল না। এটি একটি সরল বেতার যন্ত্র যা মেসেজ আদান-প্রদান করতে সক্ষম। ফোনের মত🅺ো এই যন্ত্রে কথা বলা যায় না। ইন্টারনেটের ▨ব্যবহারও এই যন্ত্রে করা যায় না। পেজার খুব উচ্চ কম্পাঙ্ক বা অতি-উচ্চ কম্পাঙ্কের রেডিও তরঙ্গে কাজ করে।
পেজারের চারটি মূল উপাদান। একটি অ্যান্টেনা যা রেডিও সংকেত গ্রহণ করে, একটি রিসিভার যা আগত বার্তাগুলিকে ডিকোড করে, একটি স্ক্রিন যেখানে সেই ⭕বার্তা দেখা যায় এবং একটি ব্যাটারি।
পেজার একমুখী যোগাযোগের যন্ত্র, যার অর্থ এই যন্ত্রে এক সময়ে হয় মেসেজ গ্রহণ করা যায় বা পাঠানো যায়। দুটো কাজ একসঙ্গে চলতে পা💮রে না। তবে পরবর্তীতে দ্বিমুখী পেজারও বাজারে আসে, যা একসঙ্গে বার্তা আদান-প্রদান করতে পারত।
পেজারের মাধ্যমে যোগাযোগ অনেক বেশি নিরাপদ এবং ব্যক্তিগত হিসাবে বিবেচিত হয়। ট্র্যাক করাও সহজ নয়। আর সেই কারণেই বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠন বা জঙ্গি গোষ্ঠীর কাছে এখনও এই 🦂যন্ত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। একই কারণে হিজবুল্লাহও সেই যন্ত্র এখনও ব্যবহার করে।
তাইওয়ান থেকে পাঁচ মাস আগে আনা ওই পেজারগুলিতেই বিস্ফোরক পুরে দেওয়া হয়েছিল। হিজব🌸ুল্লাহর দাবি, এই নজিরবিহীন হামলার নেপথ্যে রয়েছে মোসাদ। ইসরায়♕েলি গুপ্তচর সংস্থার কোনোভাবে বিস্ফোরক পেজারের মধ্যে ভরেছিল।
লেবাননের নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, পেজারগুলিতে একই সময়ে একটি বিশেষ সাংকেতিক বার্তা পাঠানো হয়েছিল। আর সেই মেসেজ খুলতেই পেজার💃ের ভিতরের বিস্ফোরক সক্রিয় হয়ে বিস্ফোরণ𝄹 ঘটে।
সূত্রটি রয়টার্সকে বলেছে, “পেজারের ভেতরে যে যান্ত্রিক বোর্ড মেসেজ গ্রহণের কাজে ব্যবহৃত হয়, সেখানে বিস্ফোরক ভরেছিল মোসাদ। সেই বিসᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ্ফোরক শনাক্ত করা খুব কঠিন। এমনকি, কোনো স্ক্যানারেও ওই বিস্ফোরক ধরা পড়ে না।”
এপ্রিল-মে মাসে যন্ত্রগুলি হিজবুল্লাহর হাতে আসে। যে পেজারগুলি পাঠানো হয়েছিল সেই মডেলটির নাম এপি৯২৪। বেশ কয়েক মাস ধরে পরিকল্পনা করে পেজার হামলার ছক কষা হয়েছিল। সুযোগ বুঝে পেজারের মধ♐্যে ভরে দেওয়া হয়েছিল বিস্ফোরক।
সংবাদমাধ্যম ‘স্কাই নিউজ♍ আরাবিয়া’কে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, মোসাদ একটি উচ্চ বিস্ফোরক পদার্থ পেজারের ব্যাটারিতে ভরে দিয়েছিল এবং দূর থেকে ব্যাটারির তাপমাত্রা বাড়িয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা আবার সূত্রকে ๊উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, প্রতিটি পেজারে ২০ গ্রামেরও কম বিস্ফোরক ভরা হয়েছিল।
কী ভাবে এবং কখন পেজারের ভিতরে বিস্ফোরক ভরা হয়েছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই ব🌳িস্ফোরক কী ভাবে সক্রিয় করা হল, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পেজার হামলার নিন্দা করে লেবাননের তথ্যমন্ত্রী জিয়াদ মাকারি একে ‘ইসরায়েলি আগ্রাসন’ বলে মন্তব্য করেছেন। অন্য দিকে, হিজবুল্লাহ এই বিস্ফোরণের জন্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ ন꧋েওয়ার অঙ্গীকার নিয়েছে। একটি বিবৃতি জারি করে সশস্ত্র গোষ্ঠী জানিয়েছে, এই হামলার জন্য ‘ন্যায্য শাস্তি’ পাবে ইসরায়েল।