পুরুষরা যখন ক্রিকেট চর্চা শুরু করে, বিদেশিদের সঙ্গে মাঠের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়, তখনও নারীদের এই খেলার কথা আমরা চিন্তাও করিনি। ১৯৭৫ সালে শুরু হয় চর্চা। আর ১৯৭৭-৭৮ সালে ইং🧔ল্যান্ডের বিশ্ববিখ্যাত দল এমসিসি বাংলাদেশ সফর করে। পরের বছর বাংলাদেশে আসে শ্রীলঙ্কার জাতীয় দল। নারীরা ঘরোয়াভাবে ১৯৮১-৮২ সালে ক্রিকেট চর্চা শুরু করে। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০৭ সালে শুরু হয় চর্চা। তাও সামান্যভাবে।
বাংলাদেশের না🌌রী ক্রিকেট দল গঠনের শুরু থেকেই ছিলেন সালমা খাতুন ও রไুমানা আক্তার। সবমিলিয়েই দেশের ক্রিকেটের অন্যতম বড় সাফল্য এসেছিল তাদের হাত ধরে। তাদেরকেই এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বিদায়ের প্রস্তাব দিয়েছে।
২০১৮ সালে সালমার নেতৃত্ব🌠ে এশিয়া কাপ জেতে বাংলাদেশ। কিন্তু এখন সময় বদলে গেছে। গত বছরের জুলাইয়ে সবশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন সালমা। রুমানাও দলে নিয়মিত নন। এ অবস্থায় দেশের নারী ক্রিকেটের এই পরিচিত দুই মুখের 🦋ভবিষ্যৎ কী? এমন প্রশ্ন ছিল নারী দলের নির্বাচক সাজ্জাদ আহমেদ শিপনের কাছে।
মঙ্গলবার মিরপুরে তিনি বলেন, ‘সালমা-রুমানার ব্যাপারটা হলো, বোর্ডের তর🅰ফ থেকে ব্যক্তিগতভাবে আমরা কথা বলেছি। ওরা যদি শেষ খেলাটা খেলতে চায়, ওদের স্বাগত জানাবো। একটা ম্যাচ খেলিয়ে ওদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় দিতে পারবো।’
তিনি বলেন, ‘এর সঙ্গে এটাও বলেছি, বোর্ডের কোনো জায়গায় ওরা চেষ্টা করতে পারে 🐠কোচিং বা আম্পায়ারিংয়ে। ওরা এভাবে চিন্তা করছে। সম্ভবত এই বছর খেলবে, তারপর আমার মনে হ🥃য় না।’
জাতীয় দলের পরিকল্পনায় তারা আছেন কি না প্রশ্নের উত্তরে শিপন বলেন, ‘স💝ালমা আপাতত নেই। এক বছর হয়ে গেছে দলে নাই।’
প্রায় এক বছর দলের বা♌ইরে থাকার পর সবশেষ এশিয়া কাপে জায়গা পেয়েছিলেন রুমানা। কিন্তু নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে মুগ্ধ করতে পারেননি তিনি। এজন্য জায়গা হয়নি আসন্ন🎶 নারী বিশ্বকাপেও। তার জায়গায় নেওয়া হয়েছে নতুন মুখ তাজ নিহারকে। কারণ কী?
উত্তরে শিপন বলেন, ‘রুমানাকে আমরা এশিয়া কাপে নিয়েছিল💟াম মিডল অর্ডার হিসেবে। কিন্তু সে ভালো ব্যাটিং করেনি। আমার কাছে মনে হয়েছে তার ব্যাটিং আসলে টি-টোয়েন্টির সঙ্গে আপাতত যাচ্ছে না। তাই আমরা ভিন্নভাবে চিন্তা করেছি।’