মধ্য আফ্রিক👍ার দেশ🦹 ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক কঙ্গোর একটি কারাগার ভেঙে পালানোর সময় অন্তত ১২৯ জন কয়েদি নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাকুমিন শাবানি লুকু বিহাঙ্গো বলেন, নিহত ১২৯ জ𓂃নের মধ্যে ২৪ জন পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে নিহত হয়েছেন; বাকিরা প্রাণ হারিয়েছেন পদদলন ও সাফোকেশনের শিকার হয়ে। এ ছাড়া পালানোর সময় আহত হয়েছেন ৫৯ জন কয়েদি। তাদেরকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে, সোমবার স্থানীয় সময় রাত ২টার দিকে রাজধানী কিনসাসার꧅ মাকালা কেন্দ্রীয় কারাগারে এই ঘটনা ঘটে।
খবর সিএনএনের।
❀ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং কিনসাসার বাসিন্দা দাদ্দি সোসো এএফপিকে বলেন, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বেশ কয়েক ঘণ্টা কারাগারে গুলির আওয়াজ পেয়েছেন তারা। রাত সাড়ে ৩ টার পর কারাগার থেকে লাশবাহী গাড়িও ছেড়ে যেতে দেখেছেন।
ঘটনার পর মাকালা কারাগারের পরিস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েকটি ভ♍িডিও পোস্ট করা হয়েছে। সেসব ভিডিওতে মাটিতে কয়েদিদের রক্তাক্ত মর𒆙দেহের সারি পড়ে থাকতে দেখা গেছে। কঙ্গোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে।
জানা গেছে, ১৫০০ কয়েদি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন মাকালা কারাগারে থাকতেন ১২ হাজারেরও বেশি সংখ্যক কয়েদি। এই কয়েদিদের অধিকা♛ংশই বিচারাধীন মামলার আসাম⛦ি।
মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পালিয়ে যাওয়া কয়েদিদের ধরতে 💯ইতোমধ্যে সশস্ত্র এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কঙ্গোর বিচার বিষয়ক মন্ত্রী কনস্ট্যান্ট মুতাম্বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় এ ঘটনাকে ‘নাশকতা’ উল্লেখ করে বলেছেন, বিচার ⛦বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত মাকালা কারাগারের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
কঙ্গোতে কারাগার ভেঙে কয়েদিদের পালানো অবশ্য বিরল কোনো ঘটনা নয়। ২০১৭ সালে এই মাকালা কারাগার ভেঙেই ৫০ জন 🐽কয়েদি পালিয়েছিলেন। এরপর ২০২০ সালে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ বেনির একটি কারাগার ভেঙে পালিয়েছিলেন প্রায় এক হাজার কয়েদি।