প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে গেছে বিশ্ব। যেকোনো দেশে ঘরে ঘরে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির নানা ডিভাইস। এসবের মধ্যে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সীদের সার্বক꧟্ষণিক ব্যবহারের ডিভাইস এখন মোবাইল আর টিভি। রাতদিন স্ক্রিনেরౠ দিকে তাকিয়ে থাকায় বিশেষত শিশুরা রয়েছে চরম ঝুঁকিতে।
এমন👍 ঝুঁকি মোকাবিলা করতে উদ্যোগ নিয়েছে সুইডেন। দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের যেকোন ধরনের স্ক্রিনের সংস্পর্শে আসা উচিত নয় বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশটির জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
সেই সঙ্গে কিশোর-কিশোরীদের দিনে তিন ঘণ্টার বেশি স্ক্রিন টাইম থাকা উচিত নয় বলেꦜ জানিয়েছে স্বাস্থ𝓡্য কর্তৃপক্ষ। গত ২ সেপ্টেম্বর এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের ডিজিট꧟াল মিডিয়া এবং টেলিভিশন থেকে সম্পূর্ণভাবে দূরে রাখতে হবে। আর দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সী বাচ্চাদের দিনে সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা টিভি বা মোবাইল দেখতে দেওয়া ෴যেতে পারে।
অভিভাবকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কীভাবে তাদের সন্তানরা স্ক্রিন ব্যবহার করবে সে বিষয়ে। বলা হয়েছে, সন্তানদের উপস্থিতিতে যখন অভিভাবকরা তাদের ফোন ব্যবহার করেন, তখন ফোনে কী করছেন, তা সন্তানদের বলা উচিত। এতে সন্তানদের কাছে মিথ্যার আশ্রয় নেয়ার প্ꦬরয়োজন থাকবে না।
সুইডেনের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কর্তৃপক্ষ বলেছে, সাম্প্রতিক এক গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া যায় যে সুইডেনে ১ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের অর্ধেকই ঘুমের ঘ🐎াটতিতে ভুগছে। এই বয়সে তাদের যতখানি ঘুমের প্রয়োজন, তা পূরণ হচ্ছে না।
এসব কারণে শিশুদের মধ্যে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। এই ঘুমহীনতার পেছনে টেলিভিশন ও স্মার্টফোনের মতো বৈদ্যুতিক গে♔জেটের প্রতি আসক্তিকে-ই দায়ী করা হয়েছে।