গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সারꦏ্বিক গণতান্ত্রিক পরিবর্তন বা রূপান্তরের প্রক্রিয়ায় জাতীয় সংগীত, পতাকা ইত্যাদি পরিবর্তন কোনো এজেন্ডাই নয়। এসব দাবি তুলে যারা শত শত শহীদের আত্মত্যাগ আর কোটি মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যে⭕তে চাচ্ছেন, তারা গণঅভ্যুত্থানের স্টেক হোল্ডার নন।
ছাত্ররা লড়াই করেছে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য। সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষ তাদের সমর্থন🅷ে রাস্তায় নেমে এসেছে। সকল ধরনের অনাচার, আইনকানুন যেগুলো মানুষের স্বাধীনতা ও বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নিয়েছে, গত ১৫ বছর যে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন জনগণের জীবনে নিয়ে এসেছিল সীমাহীন বর্বরতা, তাকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করাই ছিল প্রধান লক্ষ্য।
একটি পূর্ণাঙ্গ গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্🌟র গঠনের অঙ্গিকার নিয়েই ছাত্র জনতা বুক পেতে দিয়েছিল সশস্ত্র বাহিনীর গুলির সামনে, যেখানে শ্রেণি, লিঙ্গ, জাতি ও ধর্ম নির্বিশেষ সকল মানুষ সমান অধিকার ও সুযোগ নিয়ে মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করবে।
আন্দোলনের কোনো পর্বে কোথাও একবღারের জন্যেও জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের দাবি উচ্চারিত হয়নি। বরং ছাত্র-জনতা পরম মমতা ও শ্রদ্ধায় জাতীয় পতাকার রেপ্লিকা মস্তকে ধারণ করেছিল, তাদের কণ্ঠে ছিল দেশাত্মবোধক ও মুক্তির গ☂ান। অভ্যুত্থানের পরে আজ কেন তবে এসব আজগুবি ও অযৌক্তিক বক্তব্য সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে?
দেশেরꦡ দেয়ালে দেয়ালে রাষ্ট্রের যে রূ🌌পকল্প এঁকে দিয়েছে তরুণ তরুণীরা, তাই হচ্ছে গণঅভ্যুত্থানের ইশতেহার। কষ্ট করে সেগুলো দেখে আসুন। দেখবেন আপনি সময়ের থেকে কতটা বিচ্ছিন্ন, কতটা অপাঙতেয়, কতটা আহাম্মক!