অনেকের মুখেই ঘা হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। জিহ্বায়, মাড়িতে বা ঠোঁটের ভেতরে এই ঘা হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় মাউথ আলসার। ঘা হলে আক্রান্ত স𝓡্থান লালচে বা সাদাটে হয়ে ফুলে যায়। কামড় লেগে বা কেটে গেলে মুখের ভেতরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত সৃষ্টি হয়।
ঘা হওয়ার পর ব্যথা ও যন্ত্রণা বাড়ে। অনেক সময় শক্ত ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলেও এমন হয়। বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস বা হৃদরোগ আছে তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। দীর্ঘদিন ওষুধ খাওয়ার ফলে তাদের মুখেও এক ধরনের জীবাণু বাড়𝓰তে থাকে। ভিটামিন বি কমপ্লে༺ক্সের ঘাটতি দেখা দিলেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাদের ধূমপান এবং জর্দা দিয়ে পান ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যা☂স আছে তাদের মুখের ঘা হওয়ার আশঙ্কা বেশি হয়। এমনকি মুখে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি তাদের। অন্যদিকে, শরীরে আয়রন ও ভিটামিন বি ও ভিটামিন১২ এর অভাবেই এ সমস্যা বেশি হয়। এ সমস্যা থেক🧸ে রক্ষা পেতে প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
যেসব খাবারে প্র💫চুর পরিমাণে জিঙ্ক, ভিটামিন ও আয়রন রয়েছে সেসব খাবার বেশি পরিমাণে খেতে হবে। যেমন, ফল, শাক-সবজি, দুধ, মাছ এবং চর্বি ছাড়া মাংস নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও ম🔯ুখে ঘা হওয়ার পর ঘরোয়াভাবে কয়েকটি পদ্ধতিতে এটি সারানো যেতে পারে। যেমন-
- দুই চা চামচ হলুদের গুঁড়া পানিতে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিয়ে তা দিয়ে প্রতিদিন ২বার করে কুলকুচি করুন। এতে মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর হবে ও ঘায়ের যন্ত্রণাও সারবে।
- সামান্য ফিটকিরির গুড়ার সঙ্গে দুয়েক ফোটা গ্লিসারিন মিশিয়ে ঘায়ে লাগান। এটি ঘা শুকাতে সাহায্য করবে।
- এলাচের গুঁড়ার সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে ঘায়ের স্থানে লাগিয়ে রাখুন। আরাম পাওয়া যাবে।
- আক্রান্ত স্থানে আঙুলের ডগায় একটু ঘি লাগিয়ে নিন। মুখের ঘা সারবে দ্রুত।
- অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান আছে রসুনে। মুখের আলসারের ব্যথা ও ক্ষত দূর করতে রসুনের রস বের করে নিয়ে লাগাতে পারেন।
- এসবকিছুর পরও যদি মুখের ঘা না সারে, তাহলে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হতে হবে।