পাক𝕴স্থলী বা ডিউডেনাম বা খাদ্যনালিতে যখন আলসার হয়, এটাকে বলা হয় গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পেপটিক আলসার। সাধারণত দুই কারণে এই রোগ হতে পারে। প্রথম কারণ হলো হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া। অন্য কারণটি হলো অ্যাসপিরিন 🐬বা আইবুপ্রোফেন বা অন্য যেকোনো এনএসএ আইডিজাতীয় ব্যথানাশক ওষুধের ব্যবহার।
পেপটিক আলসারের উপসর্গ বা লক্ষণ
এই রোগের উপসর্গ হলো পেটব্যথা, বুক জ্বলা, বমি বমি ভাব, ক্ষুধামান্দ্য, ওজন হ্রাস। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় পেটব্যথা। পেটের উপরিভাগে ব্যথা করে এবং এ ব্যথাটা অনেক সময় বুকের দিকে বা পেটের নিচের দিকে ছড়িয়ে যায়। সাধা🅠রণত নারীদের তুলনায় পুরুষদের এই রোগে আক্রান্তের হার ব🌌েশি।
সাধারণত অ্যান্ডোস্কপির মাধ্যমে পেপটিক আলসারের পরীক্ষা করা হয়। তবে অনেক সময় রোগীর বয়স অন♒েক বেশি বা কম হলে যদি অ্যান্ডোস্কপি করা সম্ভব না হয় তখন বেরিয়াম মিল এক্সরে অফ দ্য স্টোমাক করার পরামর্শ দেন ডাক্তার। সাধারণত খাদ্যের কারণে পেপটিক আলসার রোগ হয় না। তবে অনিয়ন্ত্রিত বা অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস পাকস্থলীর ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে পাকস্থলীর ক্ষতের কারণে সৃষ্ট উপসর্গের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
তাই পেপটিক আলসার রোগে আক্রান্ত রোগীদের বাড়তি সতর্♏কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
- প্রতিদিন ৬-৮ গ্লাস পানি পান করবেন।
- পেট ভরে ও অনিয়মিতভাবে খাবেন না। অল্প অল্প করে বারবার খাবেন।
- প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শাকসবজি ও মাছ রাখবেন।
- নিয়মিত একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে ব্যায়াম করতে হবে।
- দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন যাপন করবেন।
- রাতে খাওয়ার কমপক্ষে ২ ঘণ্টা পর শুতে যাবেন বা ঘুমাতে যাবেন।
- অ্যালকোহল গ্রহণ ও ধূমপান করা যাবে না ।
- ফাস্ট ফুড ও কোমল পানীয় থেকে দূরে থাকবেন।
তবে কখনও রক্তবম🐓ি হলে, পেটে হঠাৎ তীব্র ব্যথা হলে কিংবা ওজন কমতে থাকলে অবশ্যই চি𒉰কিৎসকের পরামর্শ নিন।