দেশের প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরেই ডায়াবিটিসের রোগী রয়েছে। রক্তে সুগার লেভেল বেড়ে যাওয়ার জন্য়ে বয়সের কোনো সীমাবদ্ধ𒐪তা নেই। বরং যেকোনো বয়সেই ডায়াবিটিস হচ্ছে এখন। শিশু জন্মের সময়ও এই রোগ নিয়ে জন্মাতে পারে। যদিও এর সংখ্যা কম। ডায়াবিটিসে হওয়ার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে মধ্য বয়সী থেকে বয়স্করা।
ডায়াবেটিস নানা ধরণের জটিল রোগের জন্ম দেয়। দুর্বল দৃষ্টি, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনির রোগ হওয়ার অন্যতম কারণ ডায়াবিটিস। সঠিক খাদ্য ও ব্যায়ামে🍎র মাধ্যমে ডায়াবিটিস হওয়ার ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
সাধারণত রক্তে সুগারের🌟 মাত্রা নিয়ন্ত্রণ হারালেই ডায়া📖বিটিস হতে পারে। এই রোগ একবার শরীরে ঝেঁকে বসলে আর সেরে উঠে না। এটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। তাই ডায়াবিটিস হলে নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করা জরুরি। রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক কত হলে তা সঠিক বলে বিবেচিত হয় এ সম্পর্কেও ধারণা থাকতে হবে।
বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে ৪০-৪৫ বছরের বেশি বয়সিরা ডায়াব𝄹িটিস রোগে ভুগছেন। ডায়াবেটিসে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ছে। অনেকেই ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেক চেষ্টাই করেন। আবার অনেকে এই বিষয়ে উদাসীন। রক্তে সুগারের পারফেক্ট পরিমাণ কত সে বিষয়েও ধারণা থাকে না। এতে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা কষ্ট হয়ে যায়। তা꧋ই বয়স অনুযায়ী রক্তে শর্করার মাত্রা কেমন হওয়া উচিত তা জেনে নিন।
বিশেষজ্ঞরা জানান, ১৮ বছরের বেশি হলে খাবার খাওয়ার এক বা দুই ঘণ্টা পর সুগারের মাত্রা ১৪০ মিলিগ্রাম প্রতি ডেসিলিটার হওয়া স্বাভাবিক। আর খালি পেটে সুগার ৯৯ মিলিগ্রাম প্রতি ডেসিলিটার হওয়া ভালো। এর থেকে বেশি সুগার থাকলে তা অনিয়ন্ত্রিত বলে গণ্য হয় এবং দ্রু🍷ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বয়স ৪০ বছর হলে নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করা উচিত বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই বয়সেই ডায়াবিটিস হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ৪০ থেকে ৫০ ℱবছর বয়সীদের খালি পেটে সুগারের মাত্রা ৯০ থেকে ১৩০ মিলিগ্রাম প্রতি ডেসিলিটার থাকতে হবে। আর খাবারের পরে সুগারের মাত্রা ১৪০ মিলিগ্রাম প্রতি ডেসিলিটারের কম হতে হবে। তবে রাতের খাবারের পর সুগারের মাত্রা ১৫০ মিলিগ্রাম প্রতি ডেসিলিটার পর্যন্ত হতে পারে।
সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়
রক্ত সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে অর্থাত্ ডায়✤াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। প্রতিদিন কায়িক পরিশ্রম বাড়াতে হবে। হাঁটার অভ্যাস করতে হবে।🧜 ডায়েট চার্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার রাখতে হবে। তৈলাক্ত খাবার, মিষ্টি খাবার এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খাদ্যাভাস থেকে বাদ দিতে হবে। নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। তবেই সুস্থ জীবন পাওয়া যাবে।