অনিয়মিত ঘুমের কারণে কতবড় ক্ষতি হতে পারে তা কল্পনারও বাইরে। প্রতিদিন ৫ ঘণ্টারও কম সময় যারা ঘুমান তাদের কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে বলে জানাচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে করা একꦑ গবেষণা। তাছাড়া কম ঘুমালে হার্ট অ্যাটাক🦩 এবং হার্ট সংক্রান্ত নানা অসুখের ঝুঁকি তো বাড়েই। গবেষণা আরও জানাচ্ছে, ব্যস্ততার কারণে অনেকে সপ্তাহে ৫ দিন পর্যাপ্ত ঘুমাতে পারেন না, ফলে তারা ছুটির দিনটিতে অনেক বেশি সময় ঘুমিয়ে কাটান। পেন স্টেটের সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন ৫ ঘণ্টারও কম সময় ঘুমালে বেড়ে যায় হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি।
সাইকোসোম্যাটিক মেডিসিন জার্নালে প𓃲্রকাশিত গবেষণা পত্রে লেখক ডক্টর অ্যান মেরি চ্যাং বলেন, বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষই প্রয়োজনীয় সময়ের চে🙈য়ে কম সময় ঘুমান। অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে তাদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
গবেষণায় বলা হয়েছে, কারও যদি ছোটবেলা থেকেই অল্প ঘুমের অভ্যাস 🧔থাকে তাহলে পরবর্তীতে তার হার্টের অসুখ দেখা দিতে পারে। গবেষকরা ২০ থেকে ৩৫ বছর বয়সী কিছু ব্যক্তির ওপর গবেষণা করেছেন এবং তাদের প্রতিদিনের রুটিনও উল্লেখ করেছেন। এই ব্যক্তিদের ওপর ১১ দিনের একটি পরীক্ষ🐲া করা হয়েছিল।
সেসব ব্যক্তিকে বলা হয়💝েছিল প্রথম ৩ দিনের জন্য সর্বোচ্চ ১০ ঘণ্টা করে ঘুমাতে। এরপর পরবর্তী ৫ দিন প্রতিদিন রাতে ৫ ঘণ্টা ঘুমাতে বলা হয়। এরপর আবার তাদের ১০ ঘণ্টা ঘুমাতে বলা হয়। এই সময়, গবেষকরা অংশগ্রহণকারীদের হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপ পরীক্ষা করেন। এর পাশাপাশি দিনে কয়েকবার নানাভাবে হৃদপিণ্ড 𒁃পরীক্ষা করা হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় যারা হাঁটতেন, তাদের রক্তচাপ তখন কম ছিল। যাদের ঘুম ভালো হয়েছে তাদের রক্তচাপ কমেছে। কিন্তু তারা যখন শুরুতে কম ঘুমাতেন এবং পরে বেশি ঘুমাতে শুরু করেন, তখন তাদের রক্তচাপও বেড়ে যায়। অর্থাৎ পরবর্তী পর্যাপ্ত ঘুম আগের কম ঘুমের ক্ষতিপূরণ কর𝓡তে পারে না। গবেষকরা জানিয়েছেন, ঘুম না হলেই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে 𝕴জটিল রোগ।