যমজদের নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। চিকিৎসাশাস্ত্র অনুযায়ী, দুটি শুক্রাণু একসঙ্গে দুটি ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করলে ভ্রাতৃসুলভ যমজ সন্তানেꦅর জন্ম হয়। সাধারণভাবে দেখা যায়, যমজের ক্ষেত্রে চেহারা হুবহু এক হয়।
যদি꧃ও স্বভাব বা বৈশিষ্ট্যগতভাবে তারা কিছুটা ভিন্ন হয়, কিন্তু দুটি শুক্রাণু একসঙ্গে একই ডিম্বাণুর সঙܫ্গে নিষিক্ত হয়ে সমান দুইভাবে বিভক্ত হয়ে যে যমজ সন্তানের জন্ম হয় তারা আইডেন্টিক্যাল টুইন নামে পরিচিত।
সন্তান লালন-পালন 🅰করা অভিভাবকদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। তার ওপর দুটি সন্তান একসঙ্গে লালন-পালনের ক্ষেত্রে আরও কঠিন হয়ে যায় দায়িত্ব। তাই যমজ শিশুর পরিচর্যার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন। চলুন জেনে নিই সেগুলো কী-
বুকের দুধ পান করানো
সন্তা▨নের মা বা পরিবারের অনেকে মনে করতে পারেন যে, যমজ দুই সন্তানের জন্য প্রয়োজনীয় বুকের দুধ মা দিতে পারবে না। এটি ভুল ধারণা। এক্ষেত্রে মা যদি সবার সহযোগিতা পান, তাহলে জমজ নবজাতক সন্তানকে পূর্ণ ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের দুধে পুষ্টি বজায় রাখতে সক্ষম থাকেন।
শিশুর খাবার
ছয় মাস বয়সের পর শিশুকে বুকের দুধের পাশাপাশি অন্য খাবারও দিতꦇে হবে। আর তখন তখন দুই থেকে তিন ঘণ্টা পরপর তাদের খেতে দিন। আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে তারা দুজনেই সমপরিমাণে খাবার খাবে না। এবং এটাই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে বকাঝকা করবেন না। প্রয়োজনে খাবারের পদ বদলে দিন।
ঘুমের সময়
যমজ বাচ্চা হলেই যে দুইজনে একসঙ্গে সবকিছু করবে এমন ভাবার কারণ নেই। হয়তো একজন ঘুমালো, অন্য শিশুটি তখন খেলতেও পারে। ঘুম❀ পাড়ানোর জন্য জোর না কর𓄧ে তাকে সময় দিন, প্রয়োজনে কোলে করে একটু হাঁটুন।
আলাদা বিছানা
এক শিশুর কোনো কারণে অসুখ হলে ♏অন্যজনের মধ্যেও তা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই একজন কোনও রোগে আক্রান্ত হলে অপরজনকে আলাদা বিছানায় রাখুন।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা
যেহেতু শিশুরা খুব অল্পতেই নানা রোগে আক্রান্ত হয়, তাই শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছ༒ন্ন রাখুন। বাড়িতে অতিথি এলে তিনিও 🐻যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখেন সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখুন।
আলাদাভাবে দেখতে হবে
যমজ সন🅰্তানদের কখনও যমজভাবে চিন্তা না করে, তাদের দুজনকে আলাদা ব্যক্তিত্বের মর্যাদা দিন। যেমন প্রত্যেকের জন্য আলাদাভাবে জন্মদিনের উপহার বা পার্টির ব্যবস্থা করা।