ক্যালসিয়াꦛম, পটাশিয়াম, ভিটামিনের মতো মানবদেহের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ প্রোটিন। প্রতিদিনের সুষম আহারের মাধ্যমে প্রোটিন আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। মাংসপেশীর পাশাপাশি আমাদের ত্বক, উৎসেচক ও হরমোন তৈরি করতে সাহায্য করে এই উপাদান। এ ছাড়াও রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে ইস্ট্রোজেন হরমোন, সুস্থ থাইরয়েডসহ শরীরের সামগ্রিক সুস্থতায় পর্যাপ্ত প্রোটিনের প্রয়োজন। প্রতিদিন পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করা না হলে শরীরে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হলে একাধিক সমস্যায় ভুগতে পারেন আপনি। কোন উপসর্গগুলোতে বুঝবেন দেহে প্রোটিনের ঘাটতি হয়েছে, চলুন জেনে নিই-
- শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি থাকলে আপনি সারাক্ষণ ঝিমিয়ে থাকবেন। ক্লান্ত-অবসন্ন লাগবে। স্বল্প পরিশ্রমেই দুর্বল হয়ে পড়বেন আপনি।
- রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে প্রোটিনের ঘাটতি। এজন্য ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- শরীর প্রোটিনের ঘাটতি হলে চুলের সমস্যা দেখা দিতে পারে। চুল ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে। চুল পড়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। প্রোটিনের ঘাটতি ত্বকের সমস্যাও তৈরি করতে পারে। এর পাশাপাশি ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে নখ। পাতলা হয়ে যায় নখের গঠন।
- শরীরে প্রোটিনের অভাব হলে হাড় ভাঙার ঝুঁকি বাড়ে। প্রোটিন হাড়কে শক্ত ও গভীর রাখে। প্রোটিনের ঘাটতি হলে হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায়।
- প্রোটিনের অভাব দেখা দিলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হয়ে থাকে। অর্থাৎ লিভারের কোষে এ সময় ফ্যাট জমা হয়ে যায়। শরীরে প্রোটিনের অভাবের প্রতি সজাগ দৃষ্টি না-রাখলে ফ্যাটি লিভার রোগের আকার ধারণ করে।
- মাংসেপশী ও হাড়ের জন্যই শুধু নয়, বরং শরীরের বৃদ্ধির জন্যও অত্যন্ত জরুরি। প্রোটিনের অভাবে বাচ্চাদের শারীরিক বিকাশ বাধিত হতে পারে। এর ফলে তারা অপুষ্টির শিকার হতে পারে।
- প্রোটিনের ঘাটতি হলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমতে থাকে। মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা ক্রমশ কমতে থাকলে সহজেই অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন আপনি।