একটি শিশু 🧸যখন পৃথিবীতে একেবারেই নতুন, সবকিছুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তার সময় লাগে। পৃথিবীর আলো-বাতাস, ধুলো-মাটির সঙ্গে মিলেমিশে বড় হতে থাকে সে। কিন্তু নবজাতকের যত্ন নিয়ে নানা ধরনের কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে। জন্মের পর নবজাতকের মাথার চুল ফেলে দেওয়াসহ প্রচলিত অনেক♌ ধ্যানধারণা ও কুসংস্কার আমাদের দেশে প্রচলিত, যা শিশুর ক্ষতির কারণ। চলুন জেনে নেই সেগুলো কী এবং এইগুলো করা যাবে কিনা-
মধু দেওয়া
জন্মের পর নবজাতকের মুখে মধু দেওয়ার মতো কুসংস্কার বহু পুরোনো। বিশেষজ্ঞরা ছয় মাস বয়সের আগেꦉ শিশুকে মায়ের দুধ ছাড়া বাকি সব খাবার দিতে নিষেধ করেন, সেখানে সরাসরি মধু খেতে দেওয়া মানে শিশুর ক্ষতি ডেকে আনা। জন্মের পর শিশুকে অবশ্যই মায়ের বুকের শাল দুধ খাওয়াতে হবে। তাছাড়া শিশুর বয়স ১ বছর হওয়ার আগে মধু দিলে বটালিজম নামের এক রকমের অসুখ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যেটি শিশুর জন্য ডেকে আনতে পারে মারাত্মক কোনো ক্ষতি।
নবজাতকের মাথার চুল চেঁছে ফেলা
অনেকেই শিশুর জন্মের পর ছয় দিনে বা তার আগে পরে মাথার চুল চেঁছে ফেলে দেন। এটা করা ঠিক না কারণ চুল মাথা ঢেকে রাখে। মাথার সামনের অংশ🅠টায় বাচ্চাদের এক থেকে দেড় বছর পর্যন্ত একটা অংশে হাড় তৈরি হয় না। ওই জায়গাটায় শুধু ত্বক থাকে আর তার নিচেই ব্রেইন থাকে। ফলে চাপ পড়লে ওই জায়গায় ইনজুরিও হতে পার💮ে। আবার চুল ফেলে দিলে বাচ্চার ঠান্ডা লেগে হাইপোথার্মিয়া হয়ে যেতে পারে। তাই জন্মের পরপর চুল না ফেলে ২০-২৫ দিন হলে তখন চুল ফেলতে পারেন। তবে চুল ফেলতে গিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বাচ্চা যাতে আঘাত না পায়।
চোখে-কপালে কাজল
নবজাতকের চোখে-কপালে কাজল পরানোর কথা আপনার আশেপাশে অনেকেই বলবে। তারা মনে করেন, এতে বিভিন্নজনের কুনজর থেকে শিশু রক্ষা পায়। বলা বাহুল্য যে এটি কুসংসꦐ্কার। জন্মের পর শিশুর চোখে, কপালে, ভ্রু কিংবা পায়ের পাতায় কাজল দেওয়া যাবে না। কারণ কাজলে কোনও না কোন কেমিক্যাল থাকে, সেখান থেকে ইনফেকশন হতে পারে। চোখে কাজল দেওয়ার ফলে চোখে ইনফেকশন হতে পারে।
নবজাতকের নাভিতে সেঁক দেওয়া
অনেকেই নবজাতকের জ𝔉ন্মের পর তার শরীরের বিভিন্ন অংশে, নাভিতে সেঁক দেয়। তারা মনে করে, এতে শরীরে র্যাশ হবে না। কিন্তু এই ধারণা ভুল। জন্মের পর নাভিতে কোনো ধরনের সেঁক দেওয়া যাবে না, কোনো অয়েন্টমেন্ট ব্যবহার করা যাবে না। অন্য কোনোকিছু লাগালে নাভিতে ইনফেকশন হতে পারে।