মিষ্টি দেখলেই হামলে পড়ে অনেকে। অনেকেই চায়ের কাপে বেশিমাত্রায় চিনি দিয়ে খেতে ভালোবাসেন ৷ অনেকে আবার চিনিতে চুবিয়ে রুটি, পরোটাও খান। 🍸প্রচন্ড গরম, শরবত খাবে সেখানেও চিনি। ভালো খবর পেলেন সেখানেও মিষ্টি খেতে হবে, এখানেও চিনি বাদ যায় না। এভাবে প্রতিনিয়ত চিনি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। আর এই চিনিকে বলা হচ্ছে হোয়াইট পয়জন অর্থাৎ বিষ। কিন্তু কেন?
চিনিতে থাকা শর্করার কারণেই এক বিষ বলা হয়। তবে শর্করা তো আমরা আরও অনেক খাবারের মধ্য দিয়েই গ্রহণ করি। কই, সেসব খাবারকে তো বিষ বলা হয় না। বা সেসব খাবার গ্রহণে তো তেমন বাধা নিষেধ নাই। তাহলে ⛦চিনিতেই কেন সমস্যা! চিনিতে সমস্যা কারণ চিনিতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সর্বোচ্চ।
গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কী
গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বা Glycemic Index হলো এমন একটি তালিকা যা কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাবার কত দ্রুত রক্তে সুগারের পরিমাণ বাড়াচ্ছে আর কি পরিমাণে বাড়াচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে ঐ খাবার গুলোর মধ্যে ক্রম বা তালিকা তৈরি করে। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স তিন প্রকারের হয়—নিম্ন, সহনীয় 🐎ও উচ্চ। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স, এটি আপনার রক্তে শর্করার উত্থানকে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ করে, তার ওপর ভিত্তি করে একটি খাদ্যকে একটি সংখ্যা বা স্কোর দেয়।
চিনি কেন শত্রু
সাদা চিনির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সর্বোচ্চ। চিনি খাওয়ার পরে খুব দ্রুত রক্তে সুগারের পরিমাণ বাড়ায়। রক্ত থেকে প্রয়োজনীয় গ্লুকোজ কোষে প্রবেশ করে। বাকি গ্লুকোজ চর্বি হিসেবে শরীরের বিভিন্ন অংশে জমা হয়। ফলে খুব দ্রুত আমরা ক্ষুধা বোধ করি। আবার খাবার খাই। এভাবে বারবার খাওয়ার মাধ্যমে আম♏রা বেশি ক্যালরি গ্রহণ করি। ফলস্বরূপ আমাদের ওজন, ফ্যাটিলিভার উচ্চ রক্তচাপ, হার্টে ব্লকসহ অন্যান্য জটিলতা বাড়ে। এ কারণেই চিনির স্বাস্থ্যঝুঁকি এতটা বেশি।
তাই পরিমিত চিনি বা চ☂িনির তৈরি খাবার খেতে হবে। যাদের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেশি তাদের আর চিনি গ্রহণ না করায় ভালো।