জীবনযাত্রার অনিয়ম, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, শারীরিক কসরতের অভাব সহ নানান কারণে সহজেই বাসা বাঁধে লিভারের নানান রোগ। তবে লিভারে🅠র রোগ সহজে ধরা পড়ে না। অনেক সময় ধরা পড়তে পড়তে দেরি হয়ে যায়। তখন আর কিছু করার থাকে না। তাই আগে থেকেই সাবধান হওয়া জরুনি। জেনে নিন, কোন কোন লক্ষণ দেখে সতর্ক হবেন।
ওজন হ্রাস
খাওয়া-দাওয়া 🌜পরিমাণ মতোই করছেন অথচ ওজন দিন দিন কমে যাচ্ছে? তা হলে অতি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এভাবে ওজন কমা স্বাভাবিক না। লিভারের কোন না কোন সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন কিনা দেখে নিন।
পেট ব্যাথা
লিভারে সমস্যা থাকলে পেট ফুলে যেতে পারে। কারণ লিভারে পানি জমে আকারে বড় হয়ে গেলে তা আশপাশে থাকা অন্যান্য প্রত্যঙ্গকে চাপ দেয়, তখন ব্যথা অনুভূত হতে পারে। সেখান থেকে পেটে ব্যথা হওয়া অস্বাভ🌄াবিক নয়।
পেট ফাঁপা
অনেক দিন ধরে লিভারের কোনো সমস্যꦐা থাকলে তলপেটে তরল জমা হয়ে পেট ফাঁপার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকেই এই পেট ফাঁপার সমস্যায় মাঝে মাঝেই ভুগে থাকেন। সেই সময় পেট ফুলেও থাকে। কয়েক দিন ধরে পরপর এ রকম সমস্যা দেখা দিলে সতর্ক হন।
অতিরিক্ত ঘাম
অতির♉িক্ত ঘাম ঝরা এবং বাজে দৈহিক দুর্গন্ধ হলে আপনাকে লিভার সম্পর্কে সতর্ক হতে হবে। জিহ্বায় সাদাটে হলুদাভ আবরণ পড়লে বা নিঃশ্বাসের সঙ্গে দুর্গন্ধ বের হলেও বুঝতে হবে আপনার লিভারকে বিষমু🦩ক্ত করতে হবে।
কালশিটে দাগ
লিভার ভিটামিন কে-এর সাহায্যে একটি প্রোটিন উৎপাদন করে, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। লিভার পুরনো ও ক্ষতিগ্রস্ত রক্তের কোষগুলির ভাঙনেও সহায়তা করে। লিভার বিকল হতে শুরু করলে এটি প্রয়োজন মতো প্রোটিন উৎপাদন করতে পারে না। কাজেই সহজেই কালশিটে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তꦰৈরি হয়।
পা ও গোড়ালিতে জ্বালা
অ্যালবুমিন প্রোটিনের উৎপাদন কমে গেলে পা ও গোড়ালিত𓂃ে জ্বালা অনুভূত হয়। এই প্রোটিন রক্তনালি থেকে অন্যান্য টিস্যুতে রক্তের ছড়িয়ে পড়াকে প্রতিহত করে। রক্তে এই তরল প্রোটিনের পরিমাণ কমে গেলে তা রক্তনালিকায় জমতে শুরু করে। তখন লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই এরকম অবস্থা দেখলেই সতর্ক হতে হবে।
জন্ডিস
লিভার থেকে নিঃসৃত হলুদ-কমলা রঙের তরল বিলিরুবিনের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে জন্ডিস হয়। লিভারে ক্ষত তৈরি হলে লিভার শরীরে বি▨লিরুবিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না। ঘন ঘন জন্ডিস লিভার সিরোসিসের লক্ষণ হতে পারে।