রমজান মাসের রোজা শুরু হচ্ছে। এর মধ্যেই গরমে উত্তপ্ত আবহাওয়া। প্রচণ্ড গরমেཧ রোজা রাখবেন মুসলিমরা। গরমে তৃ🌼ষ্ণা বেশি পায়। তাই ইফতারে জুস বা তরল পানীয় বেশি করে খাবেন রোজাদাররা। তবে বেশিরভাগ মানুষ এই সময় ডাব খেতে পছন্দ করেন। ইফতারে একগ্লাস ডাবের পানি যেন স্বস্তি ফিরিয়ে দেয়।
বিশেষজ্ঞরা জানান, দিনভর রোজা রাখলে শরীর আরও ডﷺিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। এই সময় শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যার ফলে শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। তাই শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স অর্থাৎ সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ব্যালেন্স ঠিক রাখতে হবে। তাই এই সময় পানিশূন্যতা রোধে ডাবের পানি পান করা ভালো। এতে প্রাকৃতিকভাবে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে। তাই পথ্য হিসেবে ডাব খাওয়া যেতে পারে।
তবে ডাবের চাহিদা বেশি থাকায় দামও থাকে চড়া। যদিও এখন সারাবছরই ডাবের দামে আগুন লেগে থাকে। আগে একটি ডাব কেনা যেত ৫০ ট๊াকায়। যা এখন কিনতে হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়। এমনকি রোজ🍨ায় একটি ডাব ২০০ টাকা করেও বিক্রি হচ্ছে।
সাধারণ মানুষের কাছে দ্বিগুণ দামে প্রতিদিন ডাব খাওয়া সম্ভব নয়। তাই ডাবের বিকল্প পথ্য হিসেবে অন্য খাবারে বেছে নিতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, রোজায় ইলেকট্🔯রোলাইট ব্যালেন্স ঠিক রাখার জন্য ডাবের পানি একটি ভালো পথ্য হতে পারে। কিন্তু এটি প্রতিদিন খাওয়া সম্ভব না হলে বিকল্প হিসেবে স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে। যা সহজেই পাওয়া যাবে।
পুষ্টিবিদরা জানান, মাঝারি ডাবে ২৫০ মিলিলিটার পানি থাকে। যাতে সোডিয়াম থাকে ২৫২ মিলিগ্রাম ও পটাশিয়াম থাকে ৬০০ মিলিগ্রাম। অন্যদিকে একটি খাবার স্যালাইনের প্রতি প্যাকেটে সোডিয়াম থাকে ১৩০ মিলিগ্রাম ও পটাশিয়াম থাকে ৭৫ মিলিগ্রাম। আবার স্যালাইনে গ্লুকোজও রয়েছে। যা ইলেকট্রোল𓄧াইটকে শরীরের কোষের ভেত𝐆রে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। একজন মানুষের ইলেকট্রোলাইটের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই স্যালাইন বানানো হয়। তাই পানিশূন্যতা পূরণে এবং ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স ঠিক রাখতে স্যালাইন খাওয়ায় উপকৃত হওয়া যাবে।